Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

বীজ থেকে অদ্ভুত ক্যাপসিকাম গাছের চারা তৈরী

বীজ থেকে অদ্ভুত  ক্যাপসিকাম গাছের চারা তৈরী
চিত্রঃ ক্যাপসিকাম গাছের চারা


ক্যাপসিকাম বীজ থেকে তাড়াতাড়ি অদ্ভুত চারা তৈরি এটি অনেক সহজ একটি পদ্ধতি। বাংলাদেশের বিভিন্ন আনাচে-কানাচে প্রতিবছর অনেক ক্যাপসিকামের চার তৈরি করা হয। বীজ থেকে খুব সহজেই মাত্র 7 দিনে ক্যাপসিকাম চারা তৈরি করা সম্ভব।



 কোন রকম ইনভেস্ট বা কোন রকম পরিশ্রম ছাড়াই খুব সহজেই ক্যাপসিকাম এর বীজ থেকে চারা তৈরি করা যায়। ক্যাপসিকাম একটি সবজি জাতীয় ফল যা বিশ্বের সকল দেশে এটি খাওয়া হয়।


ক্যপসিকাম গাছের চারা তৈরি ও চাষাবাদ 

 এছাড়া সকল বিষয়ে এই ফলের চাহিদা এতটাই বেশি যে সকলেই এটি পছন্দ করে। ক্যাপসিকাম বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে তবে লাল ক্যাপসিকাম দেখতে অনেক সুন্দর হয়। তাই আপনারা চাইলে লাল ক্যাপসিকাম গুলো খুব সহজেই নিজের বাসায় ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করে নিতে পারবেন।


 মাত্র 5 থেকে 7 দিনে ক্যাপসিকাম বীজ থেকে খুব সহজেই গাছের ছোট চারা তৈরি করে নিতে পারবেন।


ভালো ক্যাপসিকাম বীজ থেকে ভালো চারা আসা করা যায়। বীজ যত ভালো হয়  ফল ততটাই ভালো হয়। তাই ক্যাপসিকাম গাছের চারা তৈরি করার আগে সঠিক তাজা ক্যাপসিকাম বাছাই করে নিতে হবে।


 তাছাড়া মাত্র 7 দিনে খুব সহজেই ক্যাপসিকাম থেকে চারা বের করা অনেক সহজ একটি পদ্ধতি। বর্তমানে ক্যাপসিকাম বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে পারলে এটা অনেক লাভজনক ভাবে ব্যবসা বড় হবে। 

>সৌদির আজওয়া খেজুর গাছের চারা তৈরী

>টিস্যু পেপার দিয়ে আপেল গাছের চারা তৈরী


কেননা ক্যাপসিকাম এর চাহিদা বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক বেশি এবং অনেক বেকার লোক ক্যাপসিকাম চাষ করে সফল উদ্যোক্তা হতে পেরেছে। আপনি যদি ফ্রি থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি ক্যাপসিকাম চাষ খুব সহজে করতে পারেন।



 এই পদ্ধতিতে আপনি অনেক লাভজনক একটি ব্যবসা তৈরি করতে পারবেন। তাছাড়া ক্যাপসিকাম গাছের চারা তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন রকমের ব্যবসায় জড়িত হতে পারেন। 



ক্যাপসিকাম চাষ অনেক লাভজনক একটি চাষ। কেননা ক্যাপসিকাম একটি সবজি হিসেবে এর দাম অনেকটাই বেশি থাকে যার ফলে এর চাষ করে কোন ক্ষতির সম্মুখীন হবে না।



 সবজি মূলত বিভিন্ন অনুষ্ঠান হতে শুরু করে বিভিন্ন খাবারের দোকান গুলোতে পাওয়া যায়। ক্যাপসিকাম এর কারণে খাবারের টেস্ট অনেকাংশে বেড়ে যায়। তাই ক্যাপসিকাম এর গুরুত্ব অনেক বেশি।


 আপনি একজন বেকার লোক হিসেবে ক্যাপসিকামের চাস করে আপনি প্রচুর ফলন করে ব্যবসায়িক কাজে লাগাতে পারেন। এছাড়া নার্সারিতে ক্যাপসিকামের চারা বড় করে সেগুলো বাজারে অনেক বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার অনেক লাভ হতে পারে।



ক্যাপসিকাম বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল দেশের অনেক জনবহুল একটি খাবার। বিশ্বের সকল দেশের সকল রেসিপির সাথে ক্যাপসিকাম দেয়া হয়।



 তাছাড়া আমরা বাংলাদেশীরা যেমন শাক সবজি বা রান্নাবান্নার সাথে বিভিন্ন তেল থাকি। অন্যান্য দেশগুলোতে তারা শুধুমাত্র ক্যাপসিকাম এর মাধ্যমেই রান্না করে থাকে এর ফলে বিভিন্ন দেশগুলোতে ক্যাপসিকামের চাষ করে সেই সব দেশের বাণিজ্যিক ভাবে সেগুলো ব্যবহার করা হয়। 


ক্যাপসিকাম বীজ থেকে চারা তৈরী- ৭দিনে

আপনি যদি ক্যাপসিকাম গাছের চারা তৈরী করতে চান। অর্থাৎ ক্যাপসিকাম এর বীজ থেকে চারা তৈরি করতে চান, সে ক্ষেত্রে প্রথমে আপনি একটি লাল দেখে তাজা ক্যাপসিকাম বাজার থেকে কিনে আনেন।


 এরপর ক্যাপসিকাম গুলো কেটে এর ভেতর থেকে বীজগুলো বের করে ভালো করে ধুয়ে নিন। বীজগুলো দুই থেকে তিন ঘণ্টা রোদে শুকিয়ে নিন। 


শুকানো হয়ে গেলে বীজগুলো আবারো ২/৩ ঘন্টা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এরপরে একটি প্লাস্টিকের বক্স নিয়ে বক্সের ভিতরে টিস্যু পেপার বিছিয়ে দিয়ে ক্যাপসিকাম ফলের বীজ গুলোর টিস্যুর উপরে কিছুটা দূরত্ব রেখে বিছিয়ে দিন।


 

 খেয়াল রাখবেন যেন পানি বেশি না পড়ে যায়। অর্থাৎ এমন পানি দেওয়া উচিত যে পানি গুলো দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে শুকিয়ে যাবে।


 এরপর বক্সটি মুখ বন্ধ করে দিয়ে ঘরের যেকোনো কোনায় রেখে দিন শুষ্ক স্থানে রাখতে পারেন। ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বক্সটি খুলে দেখবেন বক্স টিস্যু পেপার মধ্যে অনেক থেকে চারা গাছে জন্মেছে।


 ক্যাপসিকাম এর বীজ থেকে চারা জার্মিনেশন হয়েছে সেগুলো আপনি দেখতে পারবেন।


ক্যপসিকাম চারা টবে লাগানোর নিয়ম

এখন আপনার কাজ হবে ক্যাপসিকাম এর বীজ চারা রোপণ করার জন্য মাটি প্রস্তুত করে নেয়া। ক্যাপসিকাম বীজের জন্য খুব সুক্ষ করে প্রস্তুত করে করতে হবে। অর্থাৎ ক্যাপসিকাম চারার জন্য খুব নরম মাটি তৈরি করে নিতে হবে। 


আপনি এগুলো খুব সহজে তৈরি করে নিতে পারেন। কিছু ঝুরঝুরে মাটি নিয়ে সেগুলোর সাথে বিভিন্ন রকমের পুরনো জৈবসার অর্থাৎ গোবর সার মিক্সড  করে নিতে পারেন। এরপরে মাটিগুলো ঝুরঝুরে করি কিছুদিন আবদ্ধ স্থানে রেখে দিন।


 তারপরে মাটিগুলো অনেক ঝরঝরে এবং ক্যাপসিকাম গাছের জন্য তৈরি হয়ে যাবে। এর পরে আপনি যদি ক্যাপসিকাম গাছের চারা টবে রোপন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি টপ প্রস্তুত করে নিতে হবে। 


আপনি যদি বীজ তলায় রেখে অনেক ক্যাপসিকাম চাষ করতে চান সেক্ষেত্রে বীজতলা তৈরি করে নিতে হবে। এছাড়া যদি বাণিজ্যিক কাজে ক্যাপসিকাম গাছের চারা তৈরী করতে চান সে ক্ষেত্রে পলিব্যাগের ভিতরে মাটি ভরে আপনি সেগুলো বিক্রির জন্য প্রস্তুত করে নিতে হবে।



 আপনি যদি টবের মধ্যে রোপণ করতে চান সে ক্ষেত্রে তবে ভিতরে চার ভাগের তিন ভাগ মাটি খুঁড়ে এর উপরে ছোট ছোট জন্মানো চারাগুলো রেখে উপর দিয়ে হালকা এক থেকে দুই সেন্টিমিটার মাটি দিয়ে চাপা দিতে হবে।


 এর পরে হালকা কিছুটা পানি দিয়ে দিতে হবে এবং তখন বাহিরের আলোতে রাখতে পারেন। তবে সূর্যের আলো যেখানে খুব অতিরিক্ত পরে সেখানে রাখা উচিত হবে না।

>বীজ থেকে মরিচ গাছের চারা তৈরি

 তাছাড়া বীজতলা গাছ রোপন করতে হলে বীজতলা খুব ভালোভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে। গাছ যাতে দ্রুত বড় হয় সেজন্য চারার দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিত।


বীজ থেকে জার্মিনেশন হওয়ার চারাগুলো এর পরে আপনি টবের মধ্যে রোপন করে পানি দিয়ে দিন। এরপর আপনি নিয়মিত এগুলোর খোঁজখবর রাখুন অর্থাৎ পরিচর্যা করুন।


 সবজির গাছগুলো আপনি যদি সার প্রয়োগ করতে পারে সেক্ষেত্রে ফলন অনেক ভাল হবে। তাই আপনি প্রতি 15 থেকে 20 দিন পর পর আপনি বিভিন্ন রকমের সহনীয় সার প্রয়োগ করতে পারেন।



 যেগুলো প্রয়োগ করলে গাছের বৃদ্ধি অনেক দ্রুত বাড়ে শাকসবজির কাছে আপনি যত সহনীয় মাত্রায় সার প্রয়োগ করবেন সে ক্ষেত্রে ফলন অনেক বেশি আসবে। তাছাড়া গোবর সার অনেক বেশি ফলন আনতে অনেক বেশী কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।



 ক্যাপসিকাম চাষ করে আপনি সফলভাবে এই পর্যায়ে আধুনিক চাষাবাদ এর মাধ্যমে আপনি অনেক উপরে উঠে যেতে পারবেন। কেননা বর্তমানে আধুনিক চাষাবাদের প্রক্রিয়ায় আপনি বিভিন্ন রকমের চাষবাস করে আপনি এগুলো বাণিজ্যিক কাজেও ব্যবহার করতে পারেন।


 আপনি যদি টবে ক্যাপসিকাম গাছের চারা রোপণ করতে চান সে ক্ষেত্রে থেকে চারটি ছাড়া একটি টবের মধ্যে লাগাবেন

 এর ভেতরে আপনি লাগানোর 10 থেকে 15 দিন পর দেখতে পারবেন কিছু চারা অনেক লম্বা হয়ে গিয়েছে এবং দুই একটি চারা হয়তো ছোট রয়ে যেতে পারে।



 ছোট রয়ে যাবে সেগুলো আপনি ফেলে দিতে হবে। কেননা এগুলো রোগাক্রান্ত চারা এগুলো খুব সহজে বড় হবে না এবং বড় হলেও এগুলো থেকে ভালো ফলন আশা করা যাবে না। তাই এগুলো ফেলে দিতে পারেন এবং বাকি যে কয়টি কাজ থাকবে সেগুলো খুব ভাল করে যত্ন নিতে হবে।



 আপনি একটি ক্যাপসিকাম গাছের চারার যত বেশি যত্ন নেবেন এবং এটির ততো তাড়াতাড়ি ফলন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হবে। একেকটি ক্যাপসিকাম গাছ থেকে আপনি 15/20 কেজি পরিমাণ ক্যাপসিকাম পেতে পারেন। 


যদি এর ফলন ভালো করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার বিভিন্ন রকমের সার সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। ক্যাপসিকাম গাছের চারা তৈরি করতে কোন রকম ইনভেস্টমেন্ট করতে হয় না।



 খুব কম স্বল্প পরিশ্রমে অধিক পরিমাণ ক্যাপসিকাম গাছের চারা তৈরি করতে পারেন। এসকল ছাড়া আপনি বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন মানুষের কাছে বিক্রি করতে পারেন এবং প্রচুর অর্থ পেতে পারেন।



 ক্যাপসিকাম গাছের চারা তৈরি পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভাল লাগে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কমেন্ট করে আপনাদের মতামত জানাবেন। এছাড়াও কোন বীজ থেকে চারা উপায় জানার জানতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।



 আমরা আপনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করব। তবে ক্যাপসিকাম এর বীজ থেকে ক্যাপসিকাম গাছের চারা তৈরি এই পোস্ট আপনি অবশ্যই মন্তব্য করবেন।

বীজ থেকে ড্রাগন ফলের চারা তৈরি- মাত্র ৭দিন