Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

লাল কাকড়ার স্বর্গরাজ্য তারুয়া সমুদ্র সৈকত

তারুয়া সমুদ্র সৈকত
চিত্রঃ তারুয়া সমুদ্র সৈকত


লাল কাকড়ার স্বর্গরাজ্য এবং বাংলাদেশের নতুন অন্যতম সমুদ্র সৈকত তারুয়া দ্বীপ অথবা তারুয়া সমুদ্র সৈকত লাল কাকড়ার সমারোহ রয়েছে এই দ্বীপে যা বাংলাদেশে আর কোথাও আপনি পাবেন না।


তারুয়া সমুদ্র সৈকতে লাল কাকড়ার সাথে মিষ্টি দুষ্টুমিতে মেতে উঠতে পারেন। তারুয়া সমুদ্র সৈকতে এখানে রয়েছে লাল কাকড়ার অজস্র সৌন্দর্য। 


এই সমুদ্রসৈকতে আপনি যদি আসেন আপনার মন জুড়িয়ে যাবে এবং আপনি এর সৌন্দর্য দেখে আত্মহারা হয়ে যাবেন। বাংলাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত বঙ্গোপসাগরের পার্শ্ববর্তী  যে চর তৈরি হয়েছে সেটা হল তারুয়া সমুদ্র সৈকত। 


পর্যটন হটস্পট লাল কাকড়ার তারুয়া সমুদ্র সৈকত

এক সময় উন্নত ছিল না কিন্তু বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগে এখন অন্যতম পর্যটন হট স্পট এ পরিনত হয়েছে। লাল কাকড়ার স্বর্গরাজ্য এবং এবং বড়ই বড়ই গাছের দ্বীপ।


বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের পরে যদি কোন সমুদ্র সৈকত থাকে তাহলে লাল কাকড়ার স্বর্গরাজ্য তারুয়া সমুদ্র সৈকত। এই সমুদ্র সৈকত এতটাই সৌন্দর্য নিয়ে ঘেরা যেটা আপনি দেখলে চোখ ফেরাতে পারবেন না। 

>বাংলাদেশের শীর্ষ দুটি পর্যটন স্পট

>শ্রেষ্ঠ পর্যটন স্পট তাড়ুয়া সমুদ্র সৈকতে ভ্রমন

এতটাই নিরিবিলি এবং এতটাই শান্ত শিষ্ট যে মনে হয় আপনি যদি এখানে আসে মনে হবে এ পৃথিবীতে আপনি মনে হয় একা মানুষ। কেননা এই দ্বীপে এখনো ওরকম জনবহুল হয়ে ওঠেনি। 


এই দ্বীপে মানুষ খুবই কম হবে। পাশে একটি গ্রাম রয়েছে ঢালচর সেখানে অনেক মানুষ বসবাস করে। কিন্তু এই সমুদ্রের পাশে কোন রকম মানুষ বসবাস করে না। 


কেননা বর্ষা বা কোন বন্যার সময় এখানে সব তলিয়ে যায় যার ফলে এখানে কোন মানুষ বসবাস করতে চায় না। তবে কয়েকজন মানুষ রয়েছে যারা এইখানের পর্যটন স্পট দেখাশুনা করে থাকে। 


তারাই পর্যটন স্পট রক্ষণাবেক্ষণ করে সবকিছু নির্ধারণ করে থাকে। তাদের হাতে রয়েছে আধুনিক সমুদ্র সৈকত সমুদ্র সৈকত।


ই দ্বীপকে লাল কাকড়ার স্বর্গরাজ্য বলার কারণ হলো এই দ্বীপে আপনি দেখতে পাবেন লক্ষাধিক লাল কাঁকড়া। যেগুলো অনেক বিষাক্ত হয়ে থাকে তবে এগুলো আপনি কখনো ধরতে পারবেন না। 


কারণ এগুলো ধরার মতো কোনো অবস্থা নেই। কেননা এগুলো আপনাকে দেখার আগেই এগুলো গর্তে ঢুকে যায়। তাছাড়া এই দ্বীপে লাল কাঁকড়া ধরা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। 


আপনি যদি কখনও এই দ্বীপে ঘুরতে যান তাহলে এখানকার লাল কাঁকড়া ধরার চেষ্টা করবেন না। তাছাড়া এগুলো অনেক বিষাক্ত। আপনাকে যদি কামড় দেয় সে ক্ষেত্রে অনেক ক্ষতি হতে পারে। 



এই দ্বীপের মানুষদের কাছ থেকে শোনা যায় এলাকাগুলো এতটাই বিষাক্ত যে এরা এরা একটি স্টিলের বাটি পর্যন্ত ফুটো করে ফেলতে পারে। সেখানে আপনার শরীরের মাংস চামড়া কেটে ফেলতে তাদের সময় হবে না।


লাল কাকড়ার দ্বীপ তারুয়া সমুদ্র সৈকত

এই দ্বীপের লাল কাকাড়া গুলো খুবই শান্ত শিষ্ট এগুলো আপনাকে কখনো কামড়াতে আসবে না। তাছাড়া আপনি যদি এগুলো নিয়ে বেশী দুষ্টামি করতে চাযন সেক্ষেত্রে সেটা আপনার জন্য অনেক আনন্দদায়ক হবে।


 আপনি যদি এগুলোর পিছে ছুটেন তাহলে আপনি এগুলো কখনো ধরতে পারবেন না। এর ফলে আপনি খেলার ছলে এগুলো ধরার ও ছেলে অনেক আনন্দ পাবেন।


তারুয়া সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের অন্যতম নিরিবিলি প্রাকৃতিক ও ম্যানগ্রোভ বন।  এখানে সমুদ্র সৈকতে পাশাপাশি রয়েছে অনেক ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। যেখানে রয়েছে হাজার প্রজাতির পশুপাখি যেগুলো পর্যটকদের জন্য অনেক বেশী আনন্দদায়ক। 


তাছাড়া এখানে সব সময় বিভিন্ন রকমের পাখির শব্দ আপনাকে আত্মহারা করে দিতে পারে। এই সমুদ্র সৈকতের সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এখানে যখন আপনি রাতে থাকবেন আপনি সমুদ্রের অনেক বড় বড় ঢেউয়ের গর্জন শুনতে পারবেন। 


যেটা নিরিবিলি পরিবেশে আপনাকে কিছুটা ভয় লাগলো আপনি অনেক আনন্দ পাবেন। কেননা এই দ্বীপে রাতের বেলা সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ কানে এসে খুব সুন্দর ভাবে পৌঁছে।


একসময়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল বর্তমান সময়ে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে একটি অন্যতম পর্যটন হট স্পট এ পরিনত হয়েছে। কেননা এই সমুদ্রসৈকতে এখন প্রশাসন ভালো দৃষ্টি দিয়েছে। যার ফলে এখানে দিন দিন উন্নয়ন হতে চলেছে। 


যদিও এই অঞ্চলে এখনো বিদ্যুৎ যায়নি সে ক্ষেত্রে আপনি সমুদ্র সৈকত সৌর বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য জেনারেটর চালিত যন্ত্রের সুবিধা পাবেন। তবে বর্তমান সময়ে সমুদ্রসৈকতে বিদ্যুতের লাইন নেয়ার কাজ চলছে আশা করা যায় কয়েক বছরের মধ্যে এখানে বিদ্যুৎ পরিপূর্ণভাবে চলে আসবে। 


যদি আপনি বিচে যান তাহলে আপনার মনে হবে না আপনি সাহারা মরুভূমিতে চলে এসেছেন। চারপাশে এত পরিমান বালু যে আপনার জন্য অনেক আনন্দদায়ক হতে পারে। তাছাড়া বিস্তৃর্ণ সবুজ মাঠ বিশাল বড় বড় গাছ এবং ছোট ছোট ফলের আপনাকে সত্যিই অনেক মুগ্ধ করবে। 


বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক মানুষ এখানে নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য চলে আসে। বিশেষ করে আপনি যদি কক্সবাজার যান সেখানে দেখা যায় পর্যটকের ভীরের কারনে আনন্দ দেওয়ার চাইতে বিরক্ত বেশি করে। কিন্তু এই দ্বীপে কোনরকম আপনি এমন সমস্যায় পড়বেন না। 


কেননা এই দ্বীপে সমুদ্র সৈকতের সাইডে কোন মানুষজন থাকে না। হাতে গোনা চার থেকে পাঁচজন এখানে মানুষ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ থাকে। এখানে যদি আপনি আসতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি একেবারে নিরিবিলি সময় কাটাতে পারবেন। যেটা বাংলাদেশে আর কোথাও পাঠাতে পারবেন না। এখানে আপনি খুব ভালো  উপভোগ করতে পারবেন।


মন রিফ্রেশ করার জন্য সমুদ্র সৈকত

বাংলাদেশের একমাত্র ডিজিটাল এবং সুন্দর সমুদ্র সৈকত তারুয়া সমুদ্র সৈকতে আপনি যদি আসেন আপনাকে কেউ বিরক্ত করবে না। 


আপনি আপনার মত এখানে থাকার ঘর রয়েছে সেখানে থাকতে পারবেন।  আপনি চাইলে যেকোন কিছুই এই দ্বীপে করতে পারেন। কেননা এই দ্বীপে কোন রকম সমস্যা নেই তাছাড়া এই দ্বীপ অনেক সেফটি এখানে কোনো রকম অঘটন ঘটে না। 



তারুয়া সমুদ্র সৈকতের ব্রিজের উপর লাল কাকড়ার দুষ্টুমি এবং নদীর সাগরের ঢেউ আপনাকে অনেক মুগ্ধ করে দেবে। তাছাড়া এখানে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য রয়েছে বিশ্রামের টেবিল। 


যেখানে আপনি ইচ্ছামত অনেক থাকতে পারবেন। তবে এখানে আপনার তাতে কোন রকম টাকা গুনতে হবে না। জেলা প্রশাসন থেকে এটা ফ্রিতে করে দেয়া হয়েছে। 



এগুলো তে আপনি না থাকতে  থাকতে চাইলে ও সমস্যা নেই আপনি তাবু করেও থাকতে পারেন। লাল কাঁকড়া স্বর্গরাজ্য তারুয়া সমুদ্র দিকে রয়েছে আনন্দর জন্য অনেক ব্যবস্থা। 


এখানে আপনি বারবিকিউ পার্টি করতে চাইলে সেক্ষেত্রে সেটা ব্যবস্থা করা আছে আপনি চাইলে করতে পারবেন। তবে তৈরি করা সকল কিছু আপনার আগে থেকে কিনে নিয়ে যেতে হবে।


আধুনিক ভোলা জেলার দক্ষিনে অবস্থিত এই তারুয়া সমুদ্র সৈকতের লাল কাঁকড়া ও  স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত। বর্তমান সরকার নজর দেয় তাহলে এই দ্বীপটি বাংলাদেশের অন্যতম সমুদ্র সৈকত হিসেবে তৈরি করা সম্ভব। 


কেননা এই দ্বীপটি রয়েছে বাংলাদেশের শেষ সীমানা অর্থাৎ বঙ্গোপসাগরের পাশে অবস্থিত। তবে আরেকটি সমস্যা হল বর্ষাকাল পাওয়া যখন বন্যা হয় তখনই সব ডুবে যায়। 


মানুষ তখন সাইক্লোন সেন্টার থাকতে হয়। আপনি যদি কখনও অসেন সেক্ষেত্রে কিছুটা সতর্ক থাকা উচিত এবং অবশ্যই বর্ষাকালে এখানে যাবেন না।


 লাল কাকড়ার স্বর্গরাজ্য তারুয়া সমুদ্র সৈকত একসময় বাংলাদেশের অন্যতম সমুদ্র সৈকত হিসেবে চিহ্নিত হবে। কেননা এই দ্বীপের সৌন্দর্য এটা যদি সকল মানুষ একবার দেখতে পারত তাহলে সে বারবার এখানে আসতে চাইতো। 


ম্যানগ্রোভ বন ও তারুয়া সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ

মনোরম পরিবেশ এবং নিরিবিলি পরিবেশে একান্ত সময় কাটানোর জন্য এই দ্বীপটি সবচাইতে বেস্ট যা বাংলাদেশের আর কোথাও নেই। এখানে আপনি সময় কাটানোর জন্য যেসকল স্থান এবং সৌন্দর্যমন্ডিত স্থান গুলো রয়েছে যেগুলো আপনি বাংলাদেশের আর কোথায় পাবেন না। 


তাছাড়া এখানকার পরিবেশ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং ন্যাচারাল কোনো রকমের সমস্যা হবে না। তাছাড়া এখানে রাতের পরিবেশ আরো বেশি সুন্দর কেননা এখানে বিভিন্ন প্রাণীর শব্দ রাতে অনেক অনন্দ দিবে।


 এখানকার পরিবেশ অনেক  সুন্দর  তবে এখানে ক্ষতিগ্রস্ত করার মতো যেসব প্রাণী থাকে সেগুলো এখানে নেই। 


তাই আপনি নিশ্চিন্তে এখানকার পরিবেশ সম্পূর্ণভাবে দেখতে পারেন। তাছাড়া আপনি যদি ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে এখানকার বড় চরগুলো ঘুরে দেখতে পারবেন এবং এখান থেকে আপনি সরাসরি বঙ্গোপসাগরের পানিতে গোসল করে আসতে পারবেন।


শীতকালে আসলে আপনি সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাবেন এবং শীতকালে এখানকার পরিবেশ খুবই সুন্দর থাকে। তাছাড়া শীতকালে এখানকার লাল কাঁকড়া এবং বিভিন্ন রকম পশু পাখি মিলে আপনাকে অনেক আনন্দ দেবে। 


সময় পেলেই চলে আসুন লাল কাঁকড়া স্বর্গরাজ্য তারুয়া সমুদ্র সৈকতে। সমুদ্র সৈকত ভ্রমন করতে কোন রকম তথ্য জানতে চান সেক্ষেত্রে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা আপনাকে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। 


কেননা এই দ্বীপে আমরা অনেকবার গিয়েছি তাই এই দ্বীপের সকল কিছু সম্পর্কে আমরা অনেক ভালো জানি। পরিশেষে বলব লাল কাকড়ার স্বর্গরাজ্য তারুয়া সমুদ্র সৈকত এই পোস্ট যদি ভালো লাগে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।