Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

সৌদির আজওয়া খেজুর চারা তৈরী করে লাভজনক ব্যবসা


azwa-dates-palm-saplings
চিত্রঃ খেজুর গাছের চারা

সৌদি আরবের বিখ্যাত খেজুর আজওয়া খেজুর গাছের চারা বিক্রি করে প্রচুর পরিমাণ লাভবান হওয়া সম্ভব। বর্তমান সময়ে আধুনিক চাষাবাদ করে সৌদি আরবের বিভিন্ন খেজুর সহ আজওয়া খেজুর গাছের চারা তৈরী করে এবং সেগুলো বিক্রি করে সফল হওয়া সম্ভব। 

আপনি যদি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বা উদ্ভিদ জগৎ সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রাখেন তাহলে এসব চারা গাছ উৎপাদন বা তৈরি খুব সহজে করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশেই আজওয়া খেজুর গাছের চারা উৎপাদন করা হয়। এছাড়া বিশ্বের সকল দেশের আজওয়া খেজুরের চাহিদা এতটাই বেশি যে সকল দেশেই পাওয়া যায়। আমাদের দেশে আজওয়া খেজুর গাছের চারা তৈরি করে এবং সেগুলো বড় করে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া সম্ভব।

আজওয়া খেজুর গাছের চারার ব্যবসা ও আধুনিক চাষাবাদ

সৌদির আজওয়া খেজুর আমাদের দেশে অনেক উচ্চ দামে বিক্রি করা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন খেজুর গাছ ২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক দুই লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। আপনি যদি আধুনিক উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ধারণা নিয়ে সকল খেজুর গাছের চারা বাড়িতে তৈরি করতে পারেন। 

সেক্ষেত্রে আপনি এগুলো বিক্রি করে অনেক লাভবান হতে পারবেন এককথায় এগুলো বিক্রি করে প্রচুর ব্যবসা করতে পারবেন। খুব কম ইনভেস্টমেন্টে এবং পরিশ্রম করে আপনি খুব সহজেই আজওয়া খেজুর গাছ তৈরি করতে পারেন। সঠিক মন মানসিকতা এবং বাস্তবতা মিলিয়ে আপনি চাইলে এই উদ্যোগ নিতে পারেন। এই উদ্যোগকে আপনাকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে পারবে। বর্তমানে খেজুর গাছের চারা বিক্রি করে অনেকেই প্রচুর ব্যবসা করে যাচ্ছে। 

আরো পড়ুনঃ

>৫দিনে কমলা ও মাল্টা গাছের চারা তৈরী

>৭দিনে আপেল গাছের চারা তৈরি

এছাড়া বর্তমানে এর চাহিদা অনেক বেশি। যে সকল মানুষ উদ্ভিদ কে ভালোবাসে বা নার্সারি কে ভালোবাসে তারা বিভিন্ন গবেষণা বা বিভিন্ন উপায়ে খেজুর গাছের চারা বড় করে খেজুর গাছ থেকে ভালো ফলন বের করছে। 

আজওয়া খেজুর গাছ শুধুমাত্র আরবদেশগুলো অর্থাৎ মরুভূমির দেশগুলোতে বড় হয়ে থাকে অন্যান্য দেশে এগুলো বড় হয় না এবং ভালো ফলন ও দেয়। বিজ্ঞানিরা বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়গুলো থেকে ভালো ফলন পেয়েছে এবং সেই ফলপ্রসূ তাদের সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে অনেকেই আজওয়া খেজুর বা সহ বিভিন্ন খেজুর গাছের চারা উৎপাদনের সম্ভাবনা লাভজনক স্বপ্ন দেখছে।

সৌদির বা আরব দেশের বিভিন্ন রকমের খেজুরের জাত রয়েছে তবে এগুলোর মধ্যে আজওয়া খেজুর অনেক ভাল এবং দামি। এছাড়া ওই গাছটি এত বেশি দামে বিক্রি করা হয় যা চোখ কপালে উঠে যাবে। আপনি যদি আজওয়া খেজুর গাছের চারা তৈরি করতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনি একটি চারা ২০০০ থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি ১০০ টি চারা তৈরি করতে পারেন সেক্ষেত্রে অনেক টাকা যারা বেশি বিক্রি করতে পারবেন। 

বর্তমানে চারা বিক্রি করা এটা অনেক বড় একটি ব্যবসা ব্যবসা করে অনেকেই লাখপতি বা হয়েছে। কেননা খেজুর গাছের চারা বিক্রি করে প্রচুর টাকা রোজগার করে অনেকেই সফল উদ্যোক্তা হয়েছে।

 বর্তমান সময়ে সকলেই চায় যে একটি খেজুর গাছের চারা টবের মধ্যে রেখে সেটা থেকে ভালো ফলন পেতে। এই জন্য অনেকেই এই গাছের চারা কিনে তাছাড়া অনেকেই বাণিজ্যিক কারণে আজওয়া খেজুর গাছের চারা কিনে সেগুলো সেখানে চাষ করে।

সৌদির আজওয়া খেজুর গাছের চারা লাভজনক ব্যবসা

সৌদির আজওয়া খেজুর গাছের চারা তৈরি করতে কোন রকম ইনভেস্ট করতে হয় না। শুধুমাত্র স্বল্প পরিশ্রমে অধিক পরিমাণ আয় করার জন্য খেজুর গাছের চারা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 

একটি খেজুর গাছের চারা আপনি পাঁচ থেকে ছয় মাস জীবিত রাখতে পারলে সেটা প্রচুর দামে বিক্রি করতে পারবেন। বিশেষ করে এক ফুট থেকে তিন ফুট উচ্চতার চারাগাছ বর্তমান বাজারে অনেক দামে বিক্রি হয়। 

সৌদি আজওয়া খেজুর গাছের চারা যদি আপনি এরকম সাইডে বিক্রি করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অনেক বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন। আমাদের দেশে বর্তমানে অনেকেই বিভিন্ন কোয়ালিটির খেজুরের চারা তৈরি করে সেগুলো বিভিন্ন দামি খেজুর গাছের চারার নাম করে বিক্রি করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে অনেক ক্রেতাই প্রতারণার শিকার হচ্ছে। আপনি সঠিক বাস্তবায়ন করে এই গাছের চারা গ্রহক করে ফেলতে পারেন।

একটি খেজুর গাছের চারা ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে অঙ্কুরোদগম বা জার্মিনেশন ঘটে। এরপর আপনি সেটা যদি সঠিক জায়গায় সঠিক মাটিতে রোপণ করতে পারেন। সেখান থেকে  পরবর্তী ২০ থেকে ৩০ দিনের মাথায় মুখ থেকে তিন ইঞ্চি বড় হবে।  সেখান থেকে সঠিক খাবার এবং যত্ন করতে পারলে পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে একটি খেজুর গাছ দুই থেকে তিন ফুট পর্যন্ত লম্বা হবে।

 বিশেষ করে আজওয়া খেজুর তৈরি করা অনেক বেশি কষ্ট সার্থক। তবে সঠিক জ্ঞান নিয়ে করতে পারলে এটা করা খুবই সহজ। আমাদের দেশে খেজুর গাছের জন্য মাটি এতটা ভালো নয় কেননা খেজুর গাছের পছন্দের মাটি আমাদের দেশে নেই। অর্থাৎ আমরা যদি এই খেজুর গাছ গুলো চাষ বা চারা তৈরি করতে হয় সে ক্ষেত্রে অনেক সর্তকতা এবং গবেষণার মাধ্যমে  তৈরি করতে হবে। আরব দেশের খেজুর গাছের বীজ যেখানে-সেখানে ফেলে দিল সেখান থেকে চারা গাছে ওঠে। 

কিন্তু আমাদের দেশের মাটি সেরকম নয় আমাদের দেশে একটি আজওয়া খেজুর গাছের চারা তৈরি করতে হলে অনেক বুদ্ধি খাটিয়ে এবং নানারকম গবেষণার মাধ্যমে সেটা করতে হবে। তবে আপনি যদি সঠিক মানুষের কাছ থেকে সঠিক জ্ঞান দিতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই চারা উৎপাদন করতে পারবেন।

আজওয়া খেজুর গাছের বীজ থেকে চারা তৈরী

প্রথমে আপনি বাজার থেকে ভালো তাজা দেখে আজওয়া খেজুর কিনে নিন। যেহেতু আপনি আজওয়া খেজুরের চারা তৈরি করবেন সে ক্ষেত্রে আজওয়া খেজুর কিনুন। কিনার সময় অবশ্যই তাজা এবং ভালো দেখে কিনবেন। এগুলো ভালো করে পানিতে ধুয়ে উপর থেকে সকল অংশগুলো পরিষ্কার করে নিন। খুব ভাল করে ধুতে হবে যতে কোনরকম নরম অংশ লেগে না থাকে। এরপরে খেজুরের বীজ আপনি দুই থেকে তিন ঘণ্টা রোদে শুকাতে দিন। 

শুকনো হয়ে গেলে আপনি একটি পাত্রে পানি নিয়ে খেজুরের বীজগুলো পাত্রের ভিতর ৫ থেকে ৬ দিন ভিজিয়ে রাখুন। আজওয়া খেজুর গাছের চারা খুব সহজে অঙ্কুরোদগম হওয়ার জন্য মিনিমাম ৫ দিন ভিজিয়ে রাখা উচিত। পাঁচ দিন পরে আপনি একটি ছোট প্লাস্টিকের বক্স নিয়ে বক্স এর ভিতর টিস্যু পেপার রাখুন। টিস্যু পেপার এর উপরে বীজগুলো ছড়িয়ে দিন। এরপরে হালকা পানির ছিটা দিয়ে টিস্যু ভাঁজ করে নিন। টিস্যু ভাজ করার পরে আরো কিছু পানি ছিটিয়ে দিন। 

>মরিচ গাছের চারা তৈরির ডিজিটাল পদ্ধতি

>বীজ থেকে ড্রাগন ফলের চারা তৈরি

পানি দেওয়ার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে কেননা পানি জমে থাকলে খেজুর গাছের জার্মিনেশন বা অঙ্কুরোদগম হবে না। অর্থাৎ এমন পানি দিবেন যা ৪ থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে শুকিয়ে যায়। 

এরপরে টিস্যু ভালো মত ভাঁজ করে পাত্রে ভিতর রেখে সেটি উপর দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। এমনভাবে ঢাকনা আটকান যেনো পাত্রে থেকে আলো-বাতাস না আসতে পারে। 

এরপর সেটা আপনার ঘরের কোন একটি স্থানে রেখে দিন 10 থেকে 15 দিন পর দেখবেন প্রতিটা খেজুরের আজওয়া খেজুরের বীজ থেকে শিকড় বের হয়েছে। অর্থাৎ আপনার আজওয়া খেজুর গাছের বীজ মাটিতে রোপন করার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। 

সৌদির আজওয়া খেজুর গাছের চারার জন্য মাটি প্রস্তুত করন

খেজুর গাছের বীজ থেকে শিকড় বের করা যতটা সহজ খেজুর গাছ বাঁচিয়ে রাখা ততটাই কঠিন। আজওয়া খেজুর গাছ থেকে খুব সহজে শিকড় বের হয় কিন্তু সেগুলো বাঁচিয়ে রাখা অনেক কষ্টসাধ্য।

 আরব দেশগুলোর মাটি আর আমাদের দেশগুলো মাঠে যেহেতু এক না সেক্ষেত্রে আপনার মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে। এমন মাটি প্রস্তুত করতে হবে যেটা খেজুর গাছের জন্য পছন্দনীয় এবং ভালো। 

তাই মাটি প্রস্তুত করার আগে আপনি বিভিন্ন উদ্ভিদ গবেষকরা যারা এসকল গাছের চারা তৈরি করে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে নিবেন। আমার মতে আপনি ঝুরঝুরে বালি যুক্ত মাটি নিয়ে নিবেন।

আমাদের দেশে আরব দেশের বিভিন্ন খেজুর গাছের চারা উৎপাদন ও চাষ খুবই কষ্টসাধ্য হলেও অনেকেই সফলভাবে এই গাছ থেকে প্রচুর ফলন এনেছে। বাংলাদেশের অনেক উদ্ভিদ বিষয়ক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি রয়েছে যারা যে কোন গাছের চারা তৈরি করতে পারে এবং খুব সহজে ভালো ফলন আনতে পারে। 

আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করে আপনি নিজেও সৌদির আজওয়া খেজুর গাছের চারা উৎপাদন করার সকল পরামর্শ নিতে পারেন। কেননা এই গাছের জন্য তৈরী করা বীজতলা অনেক সর্তকতা এবং যত্ন নিয়ে করতে হয়। 

সৈদিআরবের ও আরব দেশগুলোর মাটি বালি বেশি থাকে ফলে খুব সহজেই বড় হয়ে যায়। তাই আপনার উচিত হবে কোন উদ্ভিদ বিষয়ক গবেষণা করার যোগ্য ব্যক্তির সাথে আলাপ-আলোচনা করে আপনি সম্পর্কে জ্ঞান নিতে পারেন। 

আজওয়া খেজুর গাছের চারা লাগানোর নিয়ম

খেজুর খুব মিষ্টি হয় এর বীজ গুলোতে পোকামাকড় বা বিভিন্ন জীবাণু খুব সহজেই আক্রমণ করে। এইজন্যই একটি খেজুর গাছ খুব সহজেই বড় হতে পারেনা। আরব দেশগুলোতে আজওয়া খেজুরের গাছের চারার গোড়া যেমন বালি যুক্ত এবং গরম থাকে এক্ষেত্রে কোন প্রকার  জীবাণু আক্রমণ করতে পারে না। 

কিন্তু আমাদের দেশের মাটি অনেকটাই স্যাঁতসেঁতে ভাব থাকে এক্ষেত্রে খুব সহজে জীবনু পোকামাকড়ের আক্রমণ করতে পারে। এজন্য সৌদির আজওয়া খেজুর গাছের চারা তৈরি করতে হলে আপনার আগে ভালোমতো মাটি প্রস্তুত করন করতে হবে। 

মাটি প্রস্তুত করন করার জন্য আপনি যে পরিমাণ মাটি নিবেন তার তিনভাগের একভাগ পুরনো গোবর সার যুক্ত করবেন। এরপরে মাটিতে কিছু রুট হরমোন করবেন পাশাপাশি কীটনাশক সার দানাজাতীয় সার ও চুন প্রয়োগ করে মিক্সড করে সেগুলো দিয়ে মাকে প্রস্তুতকরণ করবেন। 

চুন এবং দানাদার সার দিয়ে মাটি মিক্সড করার ফলে মাটির মধ্যে যদি কোন বিষাক্ত জীবাণু বা পোকামাকড় থাকে তাহলে সেগুলো মরে যাবে। এর ফলে আপনার খেজুর গাছ খুব সহজে বেড়ে উঠবে এবং অনেক ভিটামিন পাবে। 

তবে এক্ষেত্রে গাছের কোন ক্ষতি হবে না আপনার চিন্তার কারণ নেই। একটি নরমাল পরিবেশে আজওয়া খেজুর গাছ খুব সহজেই বড় হবে না। এজন্য আপনাকে সঠিকভাবে মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে। 

আপনি যদি খেজুর গাছের চারা রোপণ করতে চান সে ক্ষেত্রে তবে সেরকম ভাবে তৈরি করে নিতে হবে। আপনি যদি বাণিজ্যিক কাজে বা ব্যবসা করার জন্য খেজুর গাছের চারা তৈরী করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার সুন্দর করে তৈরি করতে হবে। 

তবে বিস্তারিত আপনি যদি পলিব্যাগের মধ্যে করেন সেক্ষেত্রে আরো ভালো হবে। কেননা আপনি তো চারাগুলো বিক্রি করবেন তাই ওরকম ভাবে তৈরি করে আপনি বীজগুলো রোপন করবেন। 

অর্থাৎ যেগুলো বের হয়েছে সেগুলো আপনি মাটির ভিতরে রোপন করে উপর দিয়ে হালকা ঝরঝরে মাটির আস্তর দিয়ে দিবেন। এর ফলে চারাগাছ খুব সহজে বৃদ্ধি পাবে অবশ্যই মনে রাখবেন প্রতিটা খেজুর গাছের চারা ৪০ থেকে ৫০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে রোপণ করেন এক্ষেত্রে তারা খুব দ্রুত বড় হয়ে যাবে।

আজওয়া খেজুর গাছের সঠিক পরিচর্যা

এরপরে আপনি প্রতিদিন গাছগুলোর যত্ন এবং খাবার-দাবার দিতে থাকুন, অর্থাৎ নিয়মিত গাছে পানি দিন তবে বেশি পানি দেওয়া উচিত হবে না। যদি বর্ষাকাল থাকে সে খেতে পানি দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

 যদি গরমের সময় থাকে সে ক্ষেত্রে দুই তিন দিন পর পর পানি দিতে পারেন। গাছের চারাগুলো যখন তিন থেকে চার মাস হয়ে যাবে তখন আপনি যে সকল মানুষ যারা কিনতে আগ্রহী তাদের যোগাযোগ করতে থাকুন। 

কেননা অনেকেই সৌদির আজওয়া  খেজুর অনেকেই এই গাছের চারা খুঁজতে থাকে। আপনি যদি সঠিক গ্রাহক পান সেক্ষেত্রে আপনি অনেক ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন।

 এছাড়াও আপনি বিভিন্ন স্থানে প্রচার-প্রচারণা করতে পারেন এবং আপনার যদি  নার্সারি থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই অনেকেই জানতে পারবে আপনি চারা গাছ বিক্রি করেন।

একটি আজওয়া খেজুর গাছের চারা গাছ তৈরি করতে খুব অল্প পরিমাণ ইনভেস্ট বা পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু একটি চারা যখন আপনি বিক্রি করতে যাবেন ২০০০ টাকা শুরু করে অনেক উচ্চ দামে আপনি বিক্রি করতে পারবেন। 

কেননা সৌদির আজওয়া খেজুর গাছের চারার দাম অনেক উচ্চমানে। বর্তমানে বাংলাদেশে পাওয়া যায় তবে সেগুলো অতটা ভালো নয়। আপনি যদি ভাল মানের চারা করতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনি এগুলো বিক্রি করে প্রচুর ব্যবসা করতে পারবে।

 তাছাড়া গাছ ছোট থাকা অবস্থায় বোঝা সম্ভব নয় চারা গাছগুলো কোন জাতের। তাই অনেকেই আজওয়া খেজুর গাছের জাত বলে প্রতারণা করে থাকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় গাছের চারা তৈরি করা হচ্ছে এবং অনেক বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। 

তাই আপনি এই পদ্ধতিতে তৈরি করে প্রচুর ব্যবসা করতে পারেন এবং আপনি যদি অবসর সময় কাটানো এই চারা তৈরী করা শেখেন তো আপনি এই পদ্ধতিতে আজওয়া খেজুর গাছের চারা তৈরি করে ট্রাই করতে পারেন। যদি আপনি সফল হতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি  চারা গাছ গুলো বিক্রি করে অথবা আপনার বাড়ির আশেপাশে লাগিয়ে যত্ন লাগাতে পারেন।

আজওয়া খেজুর গাছের চারার ব্যবসা

হিসাব ক্যালকুলেশন করে দেখা যায় একটি আজওয়া খেজুর গাছের চারা তৈরি করতে আপনার খরচ খুবই কম হয়। সর্বোচ্চ গেলে একটি গাছের পেছনে আপনার ১০০ টাকা করে খরচ হয়। 

কিন্তু এই গাছের চারা আপনি পাঁচ থেকে ছয় মাস পরে দুই হাজার টাকা থেকে শুরু করে অনেক উচ্চতম গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন্ এর ফলে আপনি আরো নতুন নতুন দামি গাছগুলো চারা তৈরি করতে উৎসাহিত হবেন এবং নতুন নতুন অনেক অভিজ্ঞতা হবে। 

সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আপনি যখন আজওয়া খেজুর থেকে খেজুর গাছের চারা তৈরি করতে পারবেন তখন আপনার নিজের ভেতরে অনেক একটি ভালোলাগা কাজ করবে। যেটা আমরা যখন সাকসেস হই তখন সেই ভাললাগা কাজ করে। তেমন হবে তাই আপনি যদি আজওয়া খেজুর গাছের চারা তৈরির কাজ শুরু করে দিতে পারেন।

সৌদির আজওয়া খেজুর গাছের চারা বিক্রি করে আপনি যদি সফল উদ্যোক্তা হতে চান তাহলে সব দিক বিবেচনা করতে হবে। যেমন ধরুন আপনি খেজুর গাছের বীজ দিয়ে চারা তৈরি করলেন এতে এর পরে আপনি খুশি হয়ে আত্মহারা হয়ে গেলেন কিন্তু সঠিক গ্রাহক আপনি পেলেন না। সেক্ষেত্রে আপনার পরিশ্রম করা বৃথা তাই আপনার উচিত হবে আজওয়া খেজুর গাছের চারা তৈরি করার পাশাপাশি আপনি গ্রাহক খুঁজা। গাছ বিক্রি করার কয়েক মাস আগে থেকেই আপনি খুঁজতে হবে এবং বিভিন্ন দিকে খবর নিয়ে মানুষজনের কাছে পৌঁছাতে হবে যে আপনি খেজুর গাছের চারা বিক্রি করবেন।

আমাদের সাইটে বিভিন্ন গাছের বীজ থেকে চারা গাছ উৎপাদনের অনেক পোস্ট পাবেন আপনি সেগুলো পড়ে অনেক অভিজ্ঞতা নিতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন উদ্ভিদ বিষয়ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ পাবেন যেগুলো আপনার বাস্তব জীবনে অনেক কাজে আসবে। 

সৌদির আজওয়া খেজুর গাছের চারা তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করে প্রচুর ব্যবসা করতে পারেন। এই পোস্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত জানাবেন।

পাতা থেকে লেবু গাছের চারা তৈরি