Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

ব্লাডক্যান্সার নিয়ে ভূল কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি- Blood Cancer Treatments

blood-cancer-treatments
blood-cancer-treatments

ব্লাডক্যানসার চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় লিউকেমিয়া নামে পরিচিত। ব্লাডক্যানসার হচ্ছে রক্ত বা অস্থিমজ্জার ক্যানসার যা শরীরের সকল রক্ত নষ্ট করে ফেলে। সাধারণত  ব্লাড ক্যানসারের সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষন ধরা সম্ভব হয় না। একজন মানুষ দেখতে খুব স্বাভাবিক  হলেও তার ভিতর ব্লাডক্যানসার থাকতে পারে। 

ব্লাডক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায়

একজন সুস্থ  মানুষ খুব সহজে কখনোই  বুঝতে পারেন না সে ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হতে যাচ্ছে। এই রোগ হরে মৃত্যু  খুব সন্নিকটে  চলে আসে তবে খুব সিগ্রই ভালো চিকিৎসা  নিতে পারলে এই রোগ থেকে বাঁচা সম্ভব। আমাদের দেশে প্রতি বছর বহু লোক ব্লাড ক্যানসারে মারা যায়।

ব্লাড ক্যান্সার এমন একটা রোগ যেটা একবার বলে আপনার শরীরের সকল রক্ত দূষিত হয়ে যায়। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ এই রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়। বিশেষ করে এই রোগের চিকিৎসা এখনও অনেক দেশেই করা সম্ভব না। তাই ম্যাক্সিমাম ব্লাড ক্যান্সারের রোগী গুলো মরে যায়। বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা রয়েছে। যেহেতু ক্যান্সার নামক এই রোগের ঔষধ এখনো আবিষ্কার হয়নি তাই বিভিন্ন রকমের থেরাপি দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। শরীরের রক্ত যখন দূষিত হয়ে যায় তখন শরীরের রক্ত পরিবর্তন করে নতুন রক্ত দিতে পারলে তখন ব্লাড ক্যান্সার নামক রোগটি ভালো হয়ে যায়।

কোলেস্টরল চিকিৎসাঃ cholesterol-treatments

ড্রাগন ফল দিয়ে যাদুকরী চিকিৎসাঃ dragon-fruits

আজকে আমরা  ব্লাড ক্যানসারের লক্ষন এ চিকিৎসা  সম্পর্কে জানবো। 

ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষন- Blood Cancer

* ব্লাড ক্যানসার রোগের সবচাইতে কমন লক্ষন হলো ঘন ঘন জ্বর হওয়া।

* রাতের বেলা দিনের তুলনায় অতিরিক্ত  ঘেমে যাওয়া।

* প্রচন্ড দূর্বলতা বোধ করা আস্তে খাবারের প্রতি রুচি চলে যাওয়া।

* শরীরের ওজন কমে যাওয়া।

* দাঁতের মাড়িতে ঘা হওয়া বা মাড়ি ফুলে যাওয়া এমনকি কিছু খেতে গেলে মাড়ি থেকে রক্ত পরা।

* শরীরের চামড়া কোথাও  কেটে গেলে অতিরিক্ত  রক্তক্ষরণ  হওয়া।

* সব সময় মাথা ব্যাথা করা এবং অস্থিতে যন্ত্রনা করা।

* আক্রান্ত রোগীর ওজন কমতে থাকে রোগীকে যতই ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়ানো হোক না

 কেনো। দিন দিন শরীরের ওজন কমে যাওয়র পাশাপাশি চিকন হতে থাকে। 

* ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর অল্পতেই রক্তপাত হয়। কোনো কারনে রক্তপাত হলে রক্ত পরা বন্ধ হয় না। 

* আক্রান্ত রোগীর শরীরে রক্ত জমাটবদ্ধ দেখা যায়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত জমাট বেঁধে লাল হয়ে যায়। তাছাড়া চামড়ার উপরে লাল লাল চাকা চাকা দাগ লক্ষ করা যায়। 

* ব্লাড ক্যান্সারের প্রধান সমস্যা রক্তের কনিকাগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়া। রক্ত কনিকা গুলো নষ্ট হওয়ার ফলে খুব সহজেই ইনফেকশন হয়। যে কোনো জীবানু খুব সহজে স্কিনে ইনফেকশন ঘটায়। 

* অকারণে হাড়ে ব্যাথা অনুভব করা ক্যান্সারের লক্ষন হতে পারে। আপনার কোনো সমস্যা নেই বা কোনো কারণে ব্যাথা পাননি তারপরেও আপনার হাড়ে ব্যাথা  তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখানো উচিত।

ব্লাড ক্যানসার হওয়ার  কোন নির্দিষ্ট কারণ নেই তবে কিছু কিছু কারণে এই রোগ হতে পারে।

প্রকৃতিক বা কৃত্রিম আয়ন বিকিরন , কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ , ভাইরাস বা জিনগত কারণে হয়ে থাকে।

ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি- Blood Cancer

একজন রোগীর পরীক্ষা নিরীক্ষা  ছাড়া কখনোই বুঝা সম্ভব হয় না তার ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে কিনা।

ব্লাড ক্যানসার সনাক্ত করতে কিছু পরীক্ষার  প্রয়োজন পরে  যেমন রক্তের কোষ পরীক্ষা  বা CBC পরীক্ষা

একজন ব্লাড ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা  সম্পুর্ণ নির্ভর করে তার বয়সের উপর এবং রোগটি  কতোটা  ছড়িয়ে গেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটি ধরা পরলে সম্পুর্ণ  সুস্থ  করতে সহজ হয় তবে সেটাও খুব সহজ না।

প্রাথমিক পর্যায়ে  ব্লাড ক্যানসার ধরা খুব কঠিন হয় হয় কারণ একজন আক্রান্ত রোগী বুজতেই পারে না তার মারাত্মক রোগ হয়েছে।

ব্লাড ক্যানসারের অনেক চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে তার ভিতর প্রধান চিকিৎসা হলো কেমোথেরাপি , রেডিও থেরাপি, হাড়ের মজ্জা প্রতিস্থাপন ইত্যাদি। এই রোগ হলে অবশ্যই ভালো কোন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ  দেখাতে হবে এবং তার নির্দেশনা অনুযায়ী  চিকিৎসা  নিতে হবে। 

চুল পড়া সমস্যার কারেন্ট চিকিৎসাঃ hair-loss-and-current-treatment