Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

ব্লগিং করে লক্ষ টাকা ইনকাম- ফ্রি টিপস Blogging Earn

 

blogging-earn
blogging-earn

ব্লগিং করে  কিভাবে নিজের ট্যালেন্ট বাড়তে পারবেন এবং টাকা ইনকাম করতে পারেন। সৃজনশীলতার জন্য কেনো ব্লগিং সেরা একটি প্লাটফর্ম। ব্লগিং সম্পর্কে যাবতীয় সকল ফার্স্ট টু লাস্ট সকল কিছু ধাপে ধাপে বলা হবে। ব্লগিং সম্পর্কে সকল খুটিনাটি তথ্য এই সিরিজে থাকবে যা দেখে আপনার উপকার হবে এবং কিছু শিখতে পারবেন। 

ব্লগার কি এবং কিভাবে ইনকাম করবেন | What is Blogger ?

ব্লগার হলো গুগলের একটি প্লাটফর্ম যেখানে নিজের এক্টিভিটি দেখিয়ে এবং ইউনিক কিছু করে গুগল থেকে অনেক ইনকাম করা সহজ একটি রাস্তা। আপনি ইউনিক কিছু নিজের কন্টেট বা পোস্ট লেখালেখি করে নিজের জ্ঞান বাড়াতে পারেন। একটি সময় একটু পরিশ্রম খাটালে আপনিও ভালো পরিমান ইনকাম পেতে পারেন গুগল থেকে। গুগল ছাড়াও আরো অনেক কম্পানি আছে যারা গুগলের মত কাজ করে থাকে। যতই কম্পানি থাকুক না কেনো গুগলই প্রথম স্থানে রয়েছে কারণ এদের গ্রাহক সংখ্যা খুব বেশি।

ব্লগার এবং ওয়ার্ডপ্রেস কি | What is Blogger & Wordpress?

ব্লগার হলো গুগলের একটি পোডাক্ট যার সকল সিকিউরিটি গুগল দিয়ে থাকে। ব্লগার ব্যবহার করতে কোন ডোমেইন বা হোস্টিং এর প্রয়োজন পরে না তবে চাইলে টপ ক্লাস ডোমেইন ব্যবহার করতে পারেন।  ওয়ার্ডপ্রেস হলো থার্ড পার্টির পোডাক্ট তবে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়েও  আবেদন করতে পারবেন।  ওয়ার্ডপ্রেসে কাজ করতে হলে আপনার ডোমেইন এবং আলাদা হোস্টিং এর প্রয়োজন পরবে যা বিভিন্ন কম্পানি প্রভাইড করে থাকে। দুটির মধ্যে পার্থক্য হলো ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি আপনার ইচ্ছা মত সব কিছু সাজাতে পারবেন এবং টেম্পলেট গুলো খুব প্রিমিয়াম হয়। এক কথায় বলতে গেলে ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের লুকিং একটু প্রিমিয়াম দেখায় যা দেখতে সুন্দর লাগে। ব্লগারের ডিজাইন টেম্পলেট অনুযায়ী সাজাতে হয় তবে ঠিকঠাক মত সাজাতে পারলে সেটাও খুব সুন্দর হয়। 

<>ছাত্রজীবনে ইনকামের উপায়

ব্লগার নাকি ওয়ার্ডপ্রেস কোনটা দিয়ে কাজ শুরু করবেন

আমি বলবো প্রথমে ব্লগার দিয়ে কাজ শুরু করুন যখন আপনার সাইট থেকে ভালো পরিমান মাল আসবে তখন ব্লগার সাইট ট্রান্সফার করে ওয়ার্ডপ্রেস নিতে পারবেন। ব্লগারে কাজ শুরু করলে আপনার কোনো আলাদা মালের প্রয়োজন পরবে না কারন আপনার সকল পোস্ট বা ভিডিও গুগল তার মেমোরিতে রাখবে। ওয়ার্ডপ্রেস এর ক্ষেত্রে আপনার সকল পোস্ট বা ভিডিও আলাদা কোনো কম্পানির কাছে অর্থাৎ যার হোস্টিং প্রভাইড করে তাদের কাছে টাকা দিয়ে রাখতে হবে। ধরুন আপনার সকল পোস্ট তারা তাদের মেমোরিতে রাখবে বিনিময়ে আপনি তাদের টাকা দিবেন।  তাই আমি বলবো ব্লগার দিয়ে আগে কাজ শুরু করুন। 

তাছাড়া ব্লগার অনেক সহজ সিস্টেম যা আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। সবশেষে বলবো দুটোই ভালো তবে প্রথমে আপনি ব্লগার দিয়ে শুরু করুন কারণ প্রথমেই এত টাকা খরচ করে হোস্টিং কিনাটা বোকামি। প্রথম প্রথম আপনার কাজ করে যেতে হবে তখন কোনো আয় হবে না কিন্তু প্রতি মাসেই টাকা দিতে হবে হোস্টিং এর জন্য এতে আপনার লস হবে। তাছাড়া একটি সাইট র্যাঙ্ক করতে বেশ সময়ের প্রয়োজন শুধু শুধু প্রথমে এত টাকা খরচ না করাই ভালো। 

টপ লেবেল ডোমেইন (TLD) কোনগুলি বা লিস্ট

.com

.info

.org

.club

.xyz

.int

.edu

.net

.uk

.gov

.biz

.in

.mil

তাছাড়া প্রতিটা দেশের কিছু কান্ট্রি ডোমেইন আছে 

যেমন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডোমেইন হলো

.com.bd

গুগল কিভাবে  আমাদের সাইট র‌্যাঙ্ক করে 

ধরুন আপনার একটি কম্পানি আছে এখন আপনার কম্পানিটি আপনি রান করতে চান বা জনপ্রিয় করতে চান। জনপ্রিয় করতে চাইলে আপনার খরচ হবে যেমনটা আমরা টেলিভিশনের পর্দায় দেখে থাকি। এখন আপনি গুগলকে এই  কাজ টা দিলেন এবং একটা দাম নির্ধারন করে দিলেন যা প্রতিবার কেউ আপনার সাইটে ঢুকলে কিছু গুগলকে পে করবেন। এখন গুগল কাদের মাধ্যমে এইটা মানুষদের দেখাবে তাই তারা ব্লগার এবং ইউটিউবের মাধ্যমে মানুষদের দেখায়।  

এখন কথা হলো গুগল একা কয়টি দেখাতে পারবে কিংবা গুগলের এত সাইট করা সম্ভব না যেখানে তারা দেখাবে তাই তারা আমাদের মত সাধারণ মানুষের মাধ্যমে অন্য মানুষকে দেখায় যার বিনিময়ে আমাদের কিছু দেয়। তবে এটা সত্যি যে গুগল নিযে খুব কম লাভ নেয় বেশি অর্ধেক লাভ আমাদের দিয়ে থাকে। এতে গুগলের লাভ হয় এবং আমাদের মত ব্লগার এবং ইউটিউবারদের লাভ হয়। 

ব্লগ আপনি কেনো খুলবেন

আপনার যদি লেখালেখি করে কিছু শিখার  চিন্তা থাকে থাহলে আপনি ব্লগিং করতে পারেন। পড়াশুনার পাশাপাশি এবং চাকরির পাশাপাশি মাঝেমধ্যে সময় দিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা বাড়াতে পারেন। এতে আপনার ক্রিয়েটিভিটি বাড়বে কিছু শিখতে পারবেন। তাছাড়া আপনি ব্লগিংয়ের মাধ্যমে অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। 

ব্লগিং করতে কি কি জানা উচিত

ব্লগিং করতে আপনার জানতে হবে ইউনিক কিছু যেটা পূর্বে আর কেউ লেখালেখি করেনি। আপনি আপনার স্মার্টফোন দিয়েও এই কাজটি করতে পারবেন। প্রতিদিন বা ১/২ দিন পর পর বা ৩/৪ দিন পর পর একটি পোষ্ট লেখুন এবং পাবলিশ করুন। ব্লগিং করার প্রধান শর্ত হচ্ছে আপনার গুছিয়ে লেখার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে তাহলে আপনি সাক্সেস হতে পারবেন। এমন এমন কিছু কন্টেট লিখুন যেগুলো এর আগে কেউ লেখেনি।  সবচাইতে বড় বিষয় হলো আপনার ব্লগিংয়ের মনমানসিকতা থাকতে হবে তাহলে আপনি মনোযোগ দিতে পারবেন। 

 গুগল কখন আপনার কন্টেট এর গুরুত্ব দেয়

# আপনার পোষ্ট গুলো ইউনিক লেখা হতে হবে যা এর আগে কেউ লেখেনি।

# প্রতিটা ব্লগে কমপক্ষে একটি করে ইমেজ দিতে হবে প্রয়োজনে অনেক গুলো ব্যবহার করা ভালো। তাছাড়া ইমেজগুলো ইউনিক হতে হবে যেই ইমেজ এর আগে কেউ ব্যবহার করেনি। অর্থাৎ ইমেজের ইনফো ডিটেইলস কপিরাইট ফ্রি হতে হবে। 

# প্রতিটা পোষ্ট ৭০০ থেকে ৯০০ ওয়ার্ডের লেখা হলে খুব তাড়াতারি পোস্ট জনপ্রিয় হবে । গুগলে কোন নির্দিষ্ট ধরা বাধা নেই যে কমপক্ষে এত ওয়ার্ড লিখতে হবে। তবে ২০০/৩০০ এয়ার্ডের হলে পোষ্ট পাবলিশ বা ইনডেক্স হতে সমস্যা হয়। 

# ব্লগারে একটি সুন্দর থিম ব্যবহার করতে হবে যেখানে কোনো বাগ থাকবে না। সুন্দর একটি থিম ব্যবহার করা উচিত যেটা কম্পিউটার বা ফোন দিয়ে সুন্দর ভাবে ব্রাউজ করা যাবে। 

# এডাল্ট কোনো কনটেন্ট থাকা যাবে না বা অশ্লিল নিয়ে কোনো পোস্ট করা যাবে না।

# প্রধান বিষয় হলো কন্টেন্ট এর গ্রামার টিক রাখতে হবে যেনো সুন্দর ভাষায় হয়।

# কাউকে নিয়ে কোনো খারাপ মন্তব্য বা ফিজিকালি হ্যারেসমেন্ট করা যাবে না।

গুগলের কিছু পলেসি আছে সেগুলো পড়লেই বুঝতে পারবেন।