Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

ব্যাটারি চার্জিং সার্কিট বা মডিউল তৈরী ফ্রি কোর্স

ব্যাটারি চার্জিং সার্কিট বা মডিউল তৈরী ফ্রি কোর্স
চিত্রঃ ব্যাটারি চার্জিং সার্কিট 


আমরা অনেকেই লিথিয়াম ব্যাটারি চার্জিং সার্কিট অথবা মডিউল তৈরি করতে জানিনা। অনেকেই অনেক অপ্রয়োজনীয় ব্যাটারি বা বিভিন্ন ধরনের চার্জার লাইট আমরা ফেলে দেই। এগুলো দিয়ে আপনি খুব সহজেই লিথিয়াম ব্যাটারি চার্জিং সার্কিট তৈরি করে আপনি অনেক কাজে লাগাতে পারেন।


একটি ব্যাটারির মাধ্যমে চার্জিং সার্কিট তৈরি করে ব্যাটারীতে চার্জ দিয়ে আপনি সেটা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারেন। এমন অনেক অপ্রয়োজনীয় ব্যাটারি রয়েছে যেগুলো আমরা ফেলে দেই সঠিক বাস্তবায়ন না হলে আমরা অনেক কিছুই বুঝিনা।


৫ মিনিটেই ব্যাটারি চার্জিং সার্কিট বা চার্জিং মডিউল তৈরি

আপনার বাসায় যদি পুরানো ব্যাটারি পড়ে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই চার্জিং সার্কিট তৈরি করে আপনি ব্যাটারিটি বিভিন্ন কাজ করতে পারেন। এর ফলে নতুন নতুন কিছু অভিজ্ঞতা হবে এবং পুরনো ফেলে দেওয়া জিনিস আপনি বিভিন্ন রিসাইকেল করতে পারবেন।

 

অনেকেই বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ করে থাকে কিভাবে ব্যাটারি চার্জার তৈরি করবেন। ব্যাটারি চার্জিং সার্কিট তৈরি করা খুবই সহজ। আপনি খুব সহজেই 2 থেকে 5 মিনিটের মধ্যে তৈরি করে নিতে পারেন।


নির্দেশনাঃ ব্যাটারি চার্জিং সার্কিট ডায়াগ্রাম চিত্র নিচে দেয়া আছে


এটি দিয়ে আপনি বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন যেমন বিভিন্ন লাইট জালানো কাজে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারবেন। ব্যাটারি চার্জিং সার্কিট অনেকেই জানেনা কারণ তাদের সঠিক জ্ঞানের অভাবে অনেক ভুল করে ফেলে।

 আরো পড়ুনঃ


>তারযুক্ত হেডফোন থেকে ব্লুটুথ হেডফোন তৈরি পদ্ধতি


আপনি সঠিক সংযোগ দিয়ে যদি করতে পারেন তাহলে খুব কম সময়ে আপনি তৈরি করতে পারবেন। অনেক সময় দেখা যায় আমাদের বিভিন্ন ব্যাটারি চার্জিং সার্কিট এর প্রয়োজন পড়ে সেটা বাজারে কিনতে গেলে দেখা যায় চল্লিশ পঞ্চাশ টাকা 100 টাকার মতো লেগে যায়।


হোমমেড লিথিয়াম ব্যাটারি চার্জিং সার্কিট বা মডিউল

আপনি যদি হোমমেড ব্যাটারি চার্জিং সার্কিট তৈরী করতে চান তাহলে মাত্র 5 থেকে 10 টাকা খরচ করেই আপনি এই চার্জিং সার্কিট তৈরী করতে পারবেন। এটি তৈরি করা এত সহজ আপনি একবার দেখলেই বুঝতে পারবেন।


তাছাড়া এই পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ ঘরোয়া পদ্ধতিতে কোন সবকিছুই আপনার হাতের নাগালেই পাবেন এবং খুব সহজেই আপনি বানাতে পারবেন।


এই পোস্টটি পড়লে আপনি কিভাবে লিথিয়াম ব্যাটারি চার্জিং সার্কিট বা মডিউল তৈরি করবেন সেটা আপনি খুব সহজে বুঝতে পারবেন। আমাদের কাছে অনেক সময় 3.7 ভোল্টের ব্যাটারি থাকে।


আপনি এই চার্জিং সার্কিট তৈরি করে ৩.৭ ভোল্টের ব্যাটারি চার্জিং করে নিতে পারবেন এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। যেকোনো লিথিয়াম ব্যাটারির জন্য এই সার্কিট আপনি খুব সহজে তৈরি করতে পারবেন।


 লিথিয়াম ব্যাটারি চার্জিং সার্কিট তৈরি করতে যা যা লাগবে

 ৩.৭ ভোল্ট ব্যাটারি

ডায়োড

রেজিস্টেন্স

চার্জিং সকেট

চার্জিং লাইট


আপনি যেকোনো ব্যাটারি চার্জ করার জন্য চার্জিং সার্কিট বা মডিউল তৈরি করে নিতে পারেন। তবে আমরা এখানে 3.7 ভোল্ট ব্যাটারি দিয়ে দেখাবো। 


প্রথমে আপনি একটি 3.7 ব্যাটারি চার্জিং সার্কিট তৈরি করে ট্রাই করে দেখুন তারপরে আপনি এই পদ্ধতিতে যেকোনো ব্যাটারি চার্জিং করার জন্য চার্জিং সার্কিট তৈরি করতে পারবেন। তবে কিছুটা সার্কিট পরিবর্তন করতে হবে। 


এখানে  চার্জিং সার্কিট তৈরি করতে যে সকল জিনিসগুলো লাগবে সেগুলো সম্পর্কে আগে জানুন। 


ডায়োড হল ব্যাটারি চার্জিং করার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একটি ইলেকট্রনিক্স ডায়োড দিয়ে চার্জ করলে আপনার ব্যাটারি কোনরকম শর্ট-সার্কিট হয়না। আপনার ব্যাটারি তাপমাত্রা বা চার্জিং পাওয়ার নিয়ন্ত্রণ করে। 


আপনি যদি কোন ব্যাটারি চার্জ করতে চান তাহলে ব্যাটারিটি কয়েকদিনের মধ্যে ফুলে উঠবে নষ্ট হয়ে যাবে। ডায়োড ব্যবহারের ফলে আপনার ব্যাটারি ভালো থাকবে এবং ব্যাটারির সকল তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে। 


এখন আপনি কোন ধরনের ডায়োড ব্যবহার করবেন? 

ডায়োড দুই ধরনের রয়েছে 207 অথবা 4007  দুটি মডেলের যেকোনো একটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন। ডায়োড এর গায়ে দেখুন এই নাম্বার লেখা আছে। 


রেজিস্টেন্স আপনি একটি চার্জিং সকেট সার্কিট তৈরি করতে চাইলে অবশ্যই প্রয়োজন পড়বে। রেজিস্ট্যান্স এর মাধ্যমে আপনি যেকোন চার্জিং লাইট ব্যবহার করে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে  চার্জ হচ্ছে কিনা। 


আমাদের চার্জিং সার্কিট তৈরি করতে অথবা 1000k মডেলের রেজিস্ট্যান্স প্রয়োজন হবে। 1k রেজিস্টেন্স কিভাবে বুঝবেন রেজিস্টেন্সের গায়ের উপরে চারটি কালার থাকে কালো লাল বাদামী এবং বাকিটা অন্য যে কোনো কালার হতে পারে।


আপনি যদি ব্যাটারি চার্জিং সার্কিট বা মডেল তৈরি করতে না পারেন তাহলে এ পদ্ধতিটির দেখে তৈরী করার চেষ্টা করুন। যদি সেটাও না করতে পারেন তাহলে আপনি বাজার থেকে একটি অটোকাট চার্জিং সার্কিট কিনে নিতে পারেন। এটার দাম 30 থেকে 50 টাকার মধ্যে হবে তবে অঞ্চলভেদে কিছুটা কম বেশি হতে পারে। 


চার্জিং সকেটঃ আপনি যেকোন ধরনের চার্জিং সকেট ব্যবহার করতে পারেন। সি-পোর্ট কিংবা চিকন পিনের চার্জার পোর্ট যেকোনো একটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন। আমি বলবো যে আপনি সি-পোর্ট চার্জিং সিস্টেম রাখেন। 


আমাদের ব্যাটারি চার্জ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়বে চার্জিং লাইট একটি ব্যাটারি চার্জ হচ্ছে কিনা সেটা দেখার জন্য চার্জিং লাইট প্রয়োজন। কেননা আপনি নিজ ব্যাটারি চার্জার এর সংযোগ দিলেন কিন্তু বুঝতে পারলেন না চার্জিং হচ্ছে কিনা। 


এই ইন্ডিকেটর লাইট দিলে আপনাকে সংকেত দিবে চার্জিং হচ্ছে। এমনকি চার্জিং যদি ভুল হয় তখনও সেটা অন্য রকম সংকেত দিবে যদি আপনি ভালো চার্জার লাইট ব্যবহার করতে পারেন। 


তবে আপনি যেকোন চার্জিং লাইট ব্যবহার করতে পারেন সেটা কোন সমস্যা নেই। তবে 3.7 ভোল্ট চার্জিং লাইট গুলো ব্যবহার করবেন। যেগুলো সচরাচর সব জায়গায় পাওয়া যায়। 


ব্যাটারির জন্য চার্জিং সার্কিট বা মডিউল বানানোর নিয়ম

 প্রথমে একটি 3.7 ভোল্ট লিথিয়াম ব্যাটারি নিয়ে ব্যাটারিটি পজেটিভ ও নেগেটিভ সনাক্তকরণ করুন।   ব্যাটারির  পজেটিভ  অংশ থেকে একটি ডায়েড লাগাতে হবে।


ব্যাটারি চার্জিং সার্কিট ডায়াগ্রাম
চিত্রঃ ব্যাটারি চার্জিং সার্কিট ডায়াগ্রাম


 ডায়েড এর পজেটিভ অংশ ব্যাটারির পজেটিভ অংশে সংযোগ দিন। এখন কিভাবে বুঝবেন যে ডায়োড এর কোন অংশ পজিটিভ ও নেগেটিভ। আপনি একটি ডায়োড হাতে নিলে দেখবেন যে এক সাইট ছাই কালারের মত দেখা যাচ্ছে সেটা পজেটিভ অংশ।   


বাকি সাইটগুলো কালো কালারের মত দেখা যাবে সেই সাইড নেগেটিভ। ডায়োড এর নেগেটিভ অংশ আপনি চার্জিং সকেট এর পজিটিভ অংশে সংযুক্ত করুন।


 ডায়োড এবং চার্জিং সকেট এর মধ্যবর্তী অংশ থেকে আপনি একটি রেজিস্ট্যান্স যোগ করুন এবং সল্ডারিং করে দিন। আপনার কাছে যদি সোল্ডারিং আয়রন না থাকায সে ক্ষেত্রে আপনি তারগুলো পেঁচিয়ে টেপ লাগিয়ে দিতে পারেন। 


আপনি কিভাবে বুঝবেন চার্জিং সকেট এর পজিটিভ এবং নেগেটিভ দিক কোনটি। এটা আপনি প্রথমে পরীক্ষা করে নিতে পারেন। 


এরপরে ব্যাটারীর নেগেটিভ অংশের সাথে চার্জিং ইন্টিগেটর লাইট নেগেটিভ সংযোগ করে দিন অর্থাৎ চার্জিং লাইট এর নেগেটিভ। তারপরে সেই অংশটি চার্জিং সকেট নেগেটিভ এর সাথে সংযোগ করে দিন। 


এখন চার্জিং ইন্ডিকেটর লাইট এর পজিটিভ অংশটি রেজিস্ট্যান্স এর সাথে সংযোগ করে দিন। আপনি কিভাবে বুঝবেন চার্জিং লাইট এর কোন দিকটি পজেটিভ ও নেগেটিভ?


 আপনি একটি চার্জিং লাইট হাতে নিলে দেখবেন লাইটের ভিতরে এক সাইড অনেক মোটা একটি এবং অন্য সাইট চিকন যা অ্যালুমিনিয়ামের মত দেখা যায়। মোটা অংশটি হলো নেগেটিভ এবং চিকন যে অপশনটি দেখতে পাবেন সেটি হল পজেটিভ। 


এছাড়াও আপনি ব্যাটারি দিয়ে লাইট জ্বালিয়ে চেক করে সিওর হতে পারেন পজেটিভ এবং নেগেটিভ দিক গুলো। আপনার ব্যাটারি চার্জিং সকেট পা মডেল তৈরি করা শেষ এখন চেকআপের সময়।


যেহেতু চার্জিং সকেট লাগিয়েছিলেন সেটা দিয়ে চার্জ করে দেখুন ইন্টিগেটার বাল্ব জলে কিনা। যদি ইন্টিগ্রেটর বাল্ব জলে তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার চার্জ চার্জিং সকেট তৈরি করা হয়ে গেছে। 


সবগুলো সংযোগ আপনি সাবধানতার সাথে সোল্ডারিং আয়রনের সাহায্যে সোল্ডারিং করে দিন। যদি সোল্ডারিং আয়রন না থাকে সে ক্ষেত্রে টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে দিন।


ব্যাটারি চার্জিং সার্কিটে যাতে শর্ট সার্কিট যেন না হয় সেজন্য প্রতিটা সংযোগ কে দিয়ে পেচিয়ে দিতে পারেন। একটি সংযোগ অন্য সংযোগ এর সাথে লেগে গেলে শর্ট সার্কিট বা ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।


  এরপরে আপনি ব্যাটারি চার্জ করুন এবং দেখুন ব্যাটারীতে চার্জ জমা হচ্ছে কিনা। এখানে একটি ডায়োড এর কাজ হল আপনি যখন ব্যাটারি চার্জ করবেন তখন চার্জটি সরাসরি ব্যাটারি তে জমা হবে এবং সেখান থেকে উল্টোদিকে আউটপুট হবে না। 


যদি আউটপুট হয় তাহলে ব্যাটারি ফুলে যেতে পারে বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ডায়োড ব্যবহারের ফলে ব্যাটারীতে শুধুমাত্র চার্জ ঢুকবে কিন্তু চার্জিং সকেট এর দিকে যাবে না ।


ব্যাটারি চার্জিং করার জন্য এই পদ্ধতিতে সকেট বা মডিউল তৈরি করলে আপনার ব্যাটারি খুব ভালো থাকবে। আমার মনে হয় না এর চাইতে সহজ পদ্ধতি রয়েছে। 


আপনি বাজার থেকে একটি অটোকাট চার্জিং সকেট না কিনে এই পদ্ধতিতে ব্যাটারি চার্জিং করার জন্য সব সার্কিট বা মডেল তৈরি করতে পারেন।  এই পদ্ধতিটি  খুবই সহজ এবং আপনার জন্য সাহায্যকারী হবে। 


আপনি এখন এই পদ্ধতিতে চার্জিং সার্কিট বা বা মডিউল তৈরি করে আপনার বাসায় ফেলে দেওয়া ব্যাটারিগুলো দিয়ে বিভিন্ন রকমের বিভিন্ন কাজে লাগাতে পারেন। চার্জিং পদ্ধতি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে আপনি অবশ্যই কমেন্ট করে আপনার মতামত জানাবেন।