Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

সুরক্ষা (surokkha) অ্যাপস দিয়ে ইমারজেন্সি করোনা ভেকসিন আবেদন পদ্ধতি

 

সুরক্ষা (surokkha) অ্যাপস দিয়ে করোনা ভেকসিনের জন্য আবেদন করার সহজ নিয়ম
চিত্রঃ সুরক্ষা অ্যাপস দিয়ে করোনা ভেকসিন 

সুরক্ষা অ্যাপস দিয়ে ইমারজেন্সি কভিড১৯ ভ্যাকসিন আবেদন প্রক্রিয়া এখন আরো সহজ। বর্তমানে আরো সহজে সুরক্ষা অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কভিড১৯  ভেকসিন দ্রুত নেয়ার জন্য আগের নিয়মে আবেদন করা যাবে।

সুরক্ষা অ্যপস ইমারজেন্সি করোনা ভেকসিন আবেদন


সুরক্ষা অ্যাপস বাংলাদেশের জরুরি করোনার ভ্যাকসিন আবেদন এর অন্যতম  মাধ্যম। করোনাকালিন ভ্যাকসিনের জন্য খুব সহজ প্রক্রিয়ার আবেদন কিংবা কারেন্ট নিবন্ধন করা যাবে। 

যদিও আগে সকলেই সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করোনা ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করত। এখন আরো সহজ পদ্ধতিতে  অনেক অশিক্ষিত বা যে কিছুই জানেনা সে সকল মানুষ খুব সহজেই সুরক্ষা অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে করোনা ভ্যাকসিন নিবন্ধন করতে পারবে।




 বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য অ্যাপ্লিকেশন বের করা হয়েছে যার মাধ্যমে সকল মানুষ আবেদন করতে পারবে।

 এছাড়াও ভেকসিন আবেদন সংক্রান্ত সকল তথ্য এবং ইনফরমেশন গুলো খুজে বের করতে পারবে।

সুরক্ষা অ্যাপস একটি আইসিটি ডিভিশন এর করোনা নিবন্ধন এর জন্য অ্যাপ্লিকেশন। এটা বাংলাদেশ সরকার আইসিটি ডিভিশন এর তত্ত্বাবধানে চলছে।

সুরক্ষা অ্যাপস কি ও এর সুবিধা 


 এছাড়া অ্যাপসটি খুবই নতুন এবং খুব রিসেন্টলি লঞ্চ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে করানো ভ্যাকসিনের নিবন্ধন এবং আবেদনের এর বিভিন্ন স্ট্যাটাস কিংবা নিবন্ধন কার্ড এখানে খুব সহজেই পাওয়া যাবে।

দুই মিলিয়ন বাংলাদেশি নাগরিক সুরক্ষা  অ্যাপস ডাউনলোড করেছে এবং এর মাধ্যমে ইমারজেন্সি কভিড ভ্যাকসিন এর জন্য নিবন্ধন করেছে।

সুরক্ষা অ্যাপস স্বাস্থ্য বিভাগের  জন্য ইমারজেন্সি ভাবে তৈরি। সুরক্ষা  অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কোন বাংলাদেশী নাগরিক ইমারজেন্সি ভেকসিন দিতে চায় সেক্ষেত্রে প্রথমত অ্যাপ্লিকেশনটি মাধ্যমে নিবন্ধন রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।


 এছাড়াও এটির মাধ্যমে বাংলাদেশে কোথায় কোথায় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে এগুলো সম্পর্কে তথ্য জমাকৃত থাকে। পরবর্তীতে এগুলো সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমে গুলো সাহায্য করবে।

আপনি বাংলাদেশের করোনা আক্রান্ত একজন নাগরিক হিসাবে সুরক্ষা অ্যাপস নিবন্ধন করে করোনা ভ্যাকসিন দিতে চান, এক্ষেত্রে আপনার প্রথমত সুরক্ষা অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে।

 তবে আপনি চাইলে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা ব্যক্তির নিবন্ধন রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। এক্ষেত্রে সুরক্ষা সাইটের তুলনায় সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদন করা খুবই সহজ একটি পদ্ধতি।

সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে বাংলাদেশি 18 বছরের বেশি পরবর্তী থেকে যেকোনো নাগরিক এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে। পরবর্তীতে নির্দিষ্ট তারিখে ভ্যাকসিন নিতে পারবে।

 সুরক্ষা অ্যাপস দিয়ে ইমারজেন্সি আবেদন প্রকৃয়া


প্রথমত আপনাকে সুরক্ষা  অ্যাপসটি ডাউনলোড করে নিতে হবে এবং অ্যাপটি ইনস্টল করে নিতে হবে। সুরক্ষা  অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করা হয়ে গেল যখন আপনি ওপেন করবেন তখন আপনি প্রথমেই ভাষা সিলেক্ট করতে পারবেন। আপনি যদি বাংলায় দেখতে চান তাহলে বাংলা সিলেক্ট করুন।



সুরক্ষা অ্যাপস এর পরবর্তী পেজে আপনি দুটি অপশন দেখতে পাবেন। প্রথমটি থাকবে ভ্যাকসিন এর জন্ম নিবন্ধন করুন এবং হোমপেজ দেখতে পাবেন।

 প্রথমত আপনি ভ্যাকসিন এর আবেদন করুন এটিতে ক্লিক করবেন। এক্ষেত্রে আপনার সামনে একটি পেজ ওপেন হবে। প্রথমত আপনার পরিচয় পত্র যাচাই করতে হবে।

 আপনি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসাবে আপনার বয়স কত এবং আপনার পেশা কিংবা আপনি কী করেন এগুলো নির্বাচন করুন। পরবর্তী একটি খালি ঘর পূরণ করার অপশন পাবেন যেখানে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার এখানে সুন্দর ভাবে উল্লেখ করতে হবে।

 এছাড়াও আপনি নিচের অপশনে আপনার জন্ম তারিখ এখানে দিতে হবে। এরপরে নিচে যাচাই করুন নামক অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।

 এক্ষেত্রে আপনার ইমারজেন্সি ভেকসিন আবেদন আরো কনফার্ম হওয়ার জন্য আপনি অ্যাপ্লিকেশনটি থেকে করোনা নিবন্ধন চেকিং স্টাটাস আপনি দেখতে পাবেন ও এটি ডাউনলোড করে নিবেন।

পরবর্তী পেজে আপনার কারেন্ট ঠিকানা ভালো ভাবে পূরন করুন বিশেষ করে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা, ওয়ার্ড ইত্যাদি। 

সুরক্ষা অ্যাপস থেকে করোনা ভ্যাকসিন এর জন্য আবেদন করার পড়ে আপনি যে কার্ড দেখতে পাবেন এটি ডাউনলোড করে আপনি আপনার মেমোরী কার্ডে সেভ করে রাখবেন।

 পরবর্তী সময়ে এটি আপনি যেকোন সাইবার ক্যাপ অথবা যে কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে আপনি প্রিন্ট করে নিবেন। আপনাকে পরবর্তী দুই একদিনের মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে কনফার্ম করে দেয়া হবে আপনি কত তারিখে কত সময় আপনি টিকা পাচ্ছেন।

 তাছাড়া SMS এর মাধ্যমে লোকেশন দেওয়া থাকবে পরবর্তী সময়ে আপনি লোকেশন এবং তারিখ অনুযায়ী আপনার নির্দিষ্ট নিকটস্থ কেন্দ্রে উপস্থিত হবেন এবং করনা ভ্যাকসিন নিবেন।

 এক্ষেত্রে আপনার কার্ড বা কাগজ নিয়ে যেতে হবে। যেটাতে পরবর্তী যেগুলো এখানে উল্লেখ থাকবে। তাছাড়া অ্যাপের মাধ্যমে আরো অনেক কিছু চেক করে নিতে পারবেন।

 যেমন নিবন্ধন স্ট্যাটাস অর্থাৎ আপনার নিবন্ধনকৃত তথ্য যাচাই বাছাই বা ডকুমেন্টস গুলো দেখতে পারবেন। এছাড়া টিকেট সংগ্রহ থেকে আপনি যদি টিকা কার্ড ডাউনলোড করতে না পারেন এক্ষেত্রে আপনি টিকা কার্ড সংগ্রহ অপশন থেকে আপনি খুব সহজেই আপনার NID নাম্বার দিয়ে খুব সহজেই আপনার  টিকা কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

 সুরক্ষা অ্যাপস ডকুমেন্টস বাংলাদেশের আইসিটি ডিবিশনে রক্ষিত থাকে যেটা আপনি চাইলে খুব সহজেই বের করে নিতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যদি টিকা সনদ সংগ্রহ করতে চান এই অপশন থেকে এগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন এবং তথ্য যাচাই-বাছাই করে নিয়ে পরবর্তী সময়ে এটা কাজে লাগাতে পারবেন।

সুরক্ষা অ্যাপস থেকে টিকা কার্ড বা নিবন্ধন কার্ড সংগ্রহ করার পরবর্তী সময়ে টিকা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও পরবর্তী সময়ে করণীয় নিবন্ধন টিকা কার্ড সংরক্ষণ করে রাখতে হবে পরবর্তী ডোজ দেয়ার জন্য।

সুরক্ষা অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনি টিকা বিষয়ক বা নিবন্ধন বিষয়ক সকল সুযোগ-সুবিধা বা সাহায্য পাবেন।

করণা ভ্যাকসিন আবেদন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তর আপনি এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি সচরাচর জিজ্ঞাস্য অপশনে আপনি অনেক মূল্যবান ডকুমেন্টস পেয়ে যাবেন।

 এখানে আপনি অনেক প্রশ্ন পাবেন। বিশেষ করে করোনা ভাইরাস বাংলাদেশি নাগরিকের জন্য ভ্যাকসিন পেতে হলে কি কি করণীয় এসকল বিষয়ক সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।

অনেকের বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে নিবন্ধন তথ্য যাচাই বাছাই করার সময় যখন ফোন নাম্বারে ওটিপি কোড না যায় একটু সমস্যায় পড়তে হয়। তবে এটা সমস্যা নয় কেননা অনেক সময় সার্ভার যখন ডাউন থাকে ককন অনেক ইউজার ঢুকে।

 তখন ওটিপি কোড আসতে একটু সময়ের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে আপনি কিছুক্ষন অপেক্ষা  করতে পারেন এবং পরবর্তী সময়ে সুরক্ষা অ্যাপস ওপেন করে আবার পুনরায় নিবন্ধন আবেদন করতে পারেন।

সুরক্ষা অ্যাপস ব্যবহারের সুবিধা 


সুরক্ষা ওয়েবসাইট থেকে করনা ভ্যাকসিন এর জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া যতটা সহজ অ্যাপস এর মাধ্যমে আবেদন করা তার চাইতেও অনেক বেশি সহজ। কেননা এখানে আপনার ওয়েবসাইটে ঢুকতে হয় না আপনি জাস্ট অ্যাপসটি ওপেন করলেই আপনি আবেদন করার অপশন পেয়ে যাবেন।

যে সকল বাংলাদেশী নাগরিক ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে পারে না তাদের জন্য সুরক্ষা অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে তারা কোন রকম ব্রাউজিং ছাড়াই অ্যাপস ডাউনলোড করার মাধ্যমে খুব সহজেই করনা ভ্যাকসিন এর জন্য আবেদন করতে পারে।

 এটা বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে সকল যে মানুষ যাদের জ্ঞান নেই তারা এই সকল অ্যাপস ব্যবহার করে খুব সহজেই কোন ভ্যাকসিন এর জন্য আবেদন করতে পারবে।

আপনি যদি বাংলাদেশী নাগরিক হিসাবে এখনো করোনা ভ্যাকসিন এর জন্য আবেদন না করে থাকেন কিংবা আবেদন করতে চাইল ওয়েবসাইট ব্রাউজারের মাধ্যমে সেটা করতে পারছেন না। তাহলে আপনি খুব সহজেই সুরক্ষা অ্যাপস ডাউনলোড করার মাধ্যমে এবং কানেক্ট করার মাধ্যমে আপনি করোনা ইমারজেন্সি ভ্যাকসিন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে করণা ইমারজেন্সি ভ্যাকসিন এর জন্য আবেদন প্রক্রিয়া আপনার কাছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই মন্তব্য করতে ভুলবেন না। এছাড়া করোনা ভ্যাকসিন সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন আমরা সাহায্য করার চেষ্টা করবো।