Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

নিখুঁত সফল ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা হওয়ার উপায়

success-business-and-entrepreneur
success-business-and-entrepreneur


একজন নিখুঁত সফল ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা হতে চাইলে মানতে হবে অনেক রুলস। সঠিক নিয়মকানুন মানতে পারলে আপনি একজন সফল ব্যবসায়ী এবং সফল উদ্যোক্তা হিসেবে আপনার ব্যবসায়িক ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।

নিখুঁত ব্যবসায়ী ও সফল উদ্যোক্তা কিভাবে হবেন

সঠিক উপায়ে ব্যবসা করে একজন সফল উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী হতে হলে আপনাকে মানা উচিত অনেক নিয়ম কানুন। সঠিক পরিকল্পনা আপনার ব্যবসাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং আপনার নাম খ্যাতি অনেক বেড়ে যাবে। এজন্য আপনাকে এমন এমন কিছু নিয়ম-নীতি মানতে হবে যেগুলো আপনার ব্যবসার জন্য অনেক সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া সৎ উপায়ে ব্যবসা করতে সকল নিয়ম কানুন অবশ্যই আপনার মানতে হবে।

 কেননা ব্যবসায় একটি উপার্জনের মাধ্যম যেখানে আপনি যদি কোনরকম অসাধু উপায় অবলম্বন করেন এতে আপনার ব্যবসা কখনোই আপনি দাঁড় করাতে পারবেন না। এজন্য কিছু কিছু ট্রিক্স খাটিয়ে আপনার বিজনেস বড় করতে হবে। তাই ব্যবসা বড় করতে শুধু ইনভেস্টমেন্ট বা টাকা থাকলেই হবে না। এইজন্য আপনার উচিত অনেক নিয়ম যেগুলোর মাধ্যমে ব্যবসা খুবই কম সময়ে অনেক উঁচু স্থানে চলে যেতে পারে।

বর্তমান বিশ্বে বহু রকমের বহু টাইপের ব্যবসায়ী রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত মার্কেটে জীবন যুদ্ধ করে টিকে রয়েছে। এর মধ্যে কিছু ব্যবসায়ী  টিকে আছে। যারা রয়েছে তারা শুধুমাত্র সফল হতে পেরেছে এবং সফল উদ্যোক্তা হতে পেরেছে। বাকি অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসা শুরু করার কিছুদিন পরেই তারা ব্যবসা গুটিয়ে চলে গিয়েছে কিংবা অন্যত্র ইনভেস্ট করে আবার উপার্জন করা শুরু করেছে।

>কেক তৈরীর ব্যবসা করে উদ্যোক্তা

>খেজুরের ব্যবসা করে উদ্যোক্তা

 তবে ম্যাক্সিমাম বেশিরভাগ ব্যবসায়ী টাকা ইনভেস্ট করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাছাড়া বর্তমান সময়ের পরিস্থিতিতে ব্যবসা করা অনেকটাই হুমকিস্বরূপ। এই সময় মানুষের ব্যবসায়ীক প্রতিযোগিতা এতটাই খারাপ যে সকল মানুষ ব্যবসা করতে হলে তারা অনেক রকমের যুদ্ধ করতে হচ্ছে। তবে এর মধ্যে আপনি যদি কিছু টিপস কাজে লাগাতে পারেন এক্ষেত্রে আপনি ব্যবসায়িক পরিচালনা করে আপনি খুব কম সময়ে একজন সফল নিখুঁত বিজনেসম্যান কিংবা সফল উদ্যোক্তা হতে পারবেন।

ধরুন আপনি ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনার প্রথমত ইনভেস্ট এর বিষয় বিবেচনা করতে হবে। অনেক মানুষ ইনভেস্ট করতে পারে কিন্তু কয়জন মানুষ সফল হয়। শুধু কিছুমাত্র ছোট ছোট ভুলের কারণে অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়।

কেননা ব্যবসা এমন একটি উপার্জনের মাধ্যম যেখানে আপনি পর্যাপ্ত রিসার্চ বা যাচাই-বাছাই করে অনেক কিছু হিসাব-নিকাশ করে আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। 

এজন্য আপনার উচিত আপনার নিজের ব্র্যান্ড বা ক্রিটিভিটি দিয়ে আপনার ব্যবসায়িক বুদ্ধি বা ব্যবসা বাড়িয়ে তোলা। ফলে আপনি খুব ভালো মানের একজন ব্যবসায়ী হতে পারেন।

নিখুঁত সফল উদ্যোক্তা হতে ব্যবসায়ীক পরিকল্পনা 

একজন সফল নিখুঁত ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা হতে চাইলে প্রথমত আপনাকে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন হবে সঠিক এবং নিখুঁত ব্যবসায় পরিচালনা যার মাধ্যমে আপনি একজন নিখুঁত ব্যবসায়ীর হতে পারেন। কেননা ব্যবসায় পরিকল্পনা ছাড়া কোন ব্যবসা আপনি স্টার্ট করেন সেক্ষেত্রে আপনি সফল হবেন না। এজন্য আপনার প্রথমত উচিত হবে আপনি একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করুন।

 অর্থাৎ আপনার ব্যবসার ধরন আপনার ইনভেস্ট এর পরিমাণ। আপনি যেমন ইনভেস্ট করার আপনার সমর্থন রয়েছে। আপনি কোন বিষয়ের উপর খুব ভালো ক্রিটিভিটি রয়েছে বা কোন বিষয়ে আপনি খুব ভালো বোঝেন এসকল সবকিছু দিক বিবেচনা করে আপনি আপনার ব্যবসায়িক পরিকল্পনা গুছিয়ে নিতে হবে।

 এর ফলে আপনার ব্যবসায়িক সামনের রাস্তা গুলো অনেকাংশেই সহজ হয়ে যাবে। যার ফলে আপনি খুব সহজেই যে কোন ব্যবসা খুবই কম সময়ে সাফল্যের মুখ দেখতে পারবেন।

যে কোনো ব্যবসার ইনভেস্টমেন্ট আইডিয়া 

ব্যবসার ক্ষেত্রে ইনভেস্ট করার সামর্থ্য কিংবা পরিমাণ অনেক জরুরী। কেননা আপনি নিজে যে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন সেই ব্যবসার ইনভেস্ট কেমন, কিংবা ইনভেস্টে বিপরীতে লাভ কেমন এগুলো দিক বিবেচনা করতে হবে।

একটি ব্যবসা শুরু করতে হলে কেমন ইনভেস্ট করতে হয় কিংবা সেটা আপনার পক্ষে সম্ভব কিনা এগুলো মাথায় রাখতে হবে। আপনি ইনভেস্ট করতে আপনার সামর্থ্য কতটুক রয়েছে সেগুলো আপনার দিক বিবেচনা করতে হবে। এছাড়াও আপনি কি ব্যবসায় ইনভেস্ট করবেন কিন্তু পরবর্তী সময় দেখা গেল আরো ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হতে পারে। 

তাই আপনাকে প্রথম থেকেই একটি ব্যবসা পরিচালনার স্বার্থে ব্যবসার ইনভেস্টর পরিমাণ হিসাব করতে হবে। ব্যবসা সফল পেতে কত পরিমাণ মোট খরচ হতে পারে এগুলো সকল বিষয় বিবেচনা করতে হবে। এর ফলে আপনি একটি ব্যবসায়িক ধারণা পেলে আপনি খুব সহজেই আপনার ব্যবসায় ইনভেস্টের টাকা টা আপনি বুঝিয়ে রাখতে পারবেন। মধ্যবর্তী সময়ে অর্থাৎ ব্যবসায়ের আপনাকে সমস্যায় পড়তে হবে না।

 আপনি যদি আগে থেকেই সকল কিছু ঠিক করে রাখেন এতে আপনার ব্যবসা খুব সহজেই আপনি সাফল্যের মুখ দেখতে পারবেন।

ব্যবসার ক্ষেত্রে সততার গুরুত্ব 

একজন নিখুঁত ব্যবসায়ী কিংবা সফল উদ্যোক্তা হতে চাইলে আপনার সততা নিয়ে ব্যবসা করতে হবে। কেননা সততা উপরে আর কোনো কিছু নেই। আপনি যদি হালাল উপায়ে ব্যবসা করতে পারেন এক্ষেত্রে আপনার ব্যবসা খুব সহজেই জনপ্রিয়তা হবে। আপনি একজন সফল ভাবে আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। 

কেননা প্রতারক ব্যবসায়ীরা কখনো সফল হয় না। যদিও সফল হয় সে ক্ষেত্রে একসময় তার বিপদ অনেক সন্নিকটে থাকে। আপনাকে সততার সাথে ব্যবসা করতে হবে এবং এতে আপনি অনেক বরকত পাবেন। 

সৎ ব্যবসা করে আপনি এর মধ্যে অনেক মজা আনন্দ পাবেন। যার ফলে আপনি একজন ভাল সৎ এবং নিখুঁত ব্যবসায়ী হতে পারবেন। অনেক দেশেই রয়েছে যারা তাদের কাস্টমারদের সাথে বিভিন্ন রকমের প্রতারণা করে। ফলে দেখা যায় তারা বেশ কিছুদিন লাভ করতে পারে। কিন্তু সারাজীবন তারা এর জন্য অনেক কঠিন খারাপ অবস্থার মুখে পড়ে যায়। যার ফলে তাদের অনেক সমস্যা হয়।

 তাই আপনি একজন ব্যবসায়ী হতে হলে আপনি অবশ্যই সঠিক ভাবে সৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন এবং সঠিক পরিকল্পনা মতো ব্যবসা করতে হবে।

ব্যবসায় প্রচার-প্রচারনার গুরুত্ব 

যে কোন ব্যবসায় সফলতা আনতে হলে প্রচার-প্রচারণার কোনো জুড়ি নেই। কেননা আপনি যদি ব্যবসা শুরু করতে চান আপনার খুব ভালোভাবে প্রচার প্রচারণা করতে হবে। আপনি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসার দিলেন কিন্তু সেটা কেউ জানেনা। সে ক্ষেত্রে আপনি ব্যবসা কাস্টমার বা আপনার কাঙ্খিত নির্দিষ্ট কাস্টমার আপনি পাবেন না।

 তাই আপনি যত বেশি প্রচার প্রচারণা চালাবেন আপনি আপনার পণ্য বা আপনার ব্যবসার ততবেশি সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাবে। তাই আপনার উচিত হবে প্রথম থেকেই আপনার ব্যবসায়িক পরিচালনা ও প্রচারণা চালিয়ে যাওয়া। এক্ষেত্রে বর্তমান সময় বা আধুনিক টেকনোলজির ব্যাপক প্রচারণা চালাতে অনেকটাই সহজ। বিশেষ করে আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যবসায়ীক প্রচার প্রচারণা চালাতে পারেন।

বিভিন্ন পেজের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন। এটা আপনার জন্য অনেক সহজ এবং বর্তমান সময়ের জন্য এটা খুবই ভাল একটি পদ্ধতি। যেটা করলে আপনি আপনার ব্যবসা খুব সহজেই সফল এবং নিখুঁত ভাবে ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারবেন।

ব্যাবসায়িক মার্কেট পর্যালোচনা এবং মান উন্নয়ন

নিখুঁত ব্যবসায়ী এবং নিখুঁত সফল উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে প্রথমত ব্যবসায়িক মার্কেট পর্যালোচনা করতে হবে। অর্থাৎ আপনার মার্কেটে আপনি যে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন সেই ব্যবসার চাহিদা কেমন এগুলো সম্পর্কে পর্যালোচনা করতে হবে।

কোন বিষয়ে ব্যবসা কেমন চলছে কিংবা কোন মানুষ এই ব্যবসার সাথে জড়িত আছে কিনা এগুলো আগে জানতে হবে। পরবর্তী সময়ে আপনার ব্যবসায় এর চাহিদা বা আপনার প্রোডাক্টের যারা কিনবেন তাদের সংখ্যা বা চাহিদা কেমন এগুলো সম্পর্কে আপনার জানতে হবে।

 বিশেষ করে আপনি যদি আপনার প্রোডাক্ট  তাদের সম্পর্কে যদি আপনি কোন ধারণা নিতে না পারেন এক্ষেত্রে আপনার পর্যাপ্ত ব্যবসা লাভবান হতে না পারে। এজন্য আপনাকে কিছু রিসার্চ করতে হবে। যার ফলে আপনি আপনার ব্যবসায় মার্কেট বা প্রতিযোগিতাপূর্ণ মার্কেট আপনি যাচাই বাছাই করতে পারেন। 

যে কোনো ব্যবসার সফলতার পেছনে ব্যবসায়িক মান উন্নয়ন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আপনি একটি ব্যবসা শুরু করেন এবং আপনার প্রোডাক্টের মান এবং আপনার প্রোডাক্ট এর চাহিদা এগুলো আপনার যাচাই করতে হবে।

 কেননা আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা করছেন সেই প্রোডাক্ট পূর্বে অন্য কেউ একই প্রোডাক্ট যদি দিয়ে থাকে, কিংবা ভালো পুরাতন কেউ মার্কেটে প্রদান করে এক্ষেত্রে আপনার ব্যবসা সফল হবে না।

 তাই আপনাকে আপনার প্রয়োজন হবে অন্য ব্যবসায়ীরা যে প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা করে আপনি কম দামের সেইটা আরো ভালো মান উন্নয়ন করে নিয়ে ব্যবসা শুরু করা।

 এর ফলে আপনার ব্যবসায়িক সুনাম কিংবা খ্যাতি এবং চাহিদা অনেকাংশে বেড়ে যাবে। কেননা আপনি যেখানে কাজ করেন সেটা যদি কোন ব্যক্তি এর চেয়েও কম দামে  বিক্রি করে এক্ষেত্রে আপনার কাছে কাস্টমাররা কেন যাবে।

 তাই আপনার উচিত হবে আপনার প্রোডাক্ট  এর মান ভালো করার ফলে সকল কাস্টমার বা গ্রাহক আপনার ব্যবসায় প্রোডাক্ট পছন্দ করেন। তাছাড়া আপনার প্রোডাক্ট কিনে নিবে। এতে আপনি খুব কম সময় অনেক জনপ্রিয়তা এবং সফল হতে পারবেন। নিখুঁত ব্যবসায়ী এবং নিখুঁত সফল উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে প্রথমত ব্যবসায়িক মার্কেট পর্যালোচনা করতে হবে।

 অর্থাৎ আপনার মার্কেটে আপনি যে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন সেই ব্যবসার চাহিদা কেমন। এই পন্য ব্যবসা বর্তমানে কেমন চলছে কিংবা কোন মানুষ এই ব্যবসার সাথে জড়িত আছে কিনা এগুলো আগে জানতে হবে।পরবর্তী সময়ে আপনার ব্যবসায় এর চাহিদা বা আপনার প্রোডাক্টের যারা কিনবেন তাদের সংখ্যা বা চাহিদা কেমন এগুলো সম্পর্কে আপনার জানতে হবে।

 বিশেষ করে আপনি যদি আপনার প্রোডাক্ট ও তাদের সম্পর্কে যদি আপনি কোন ধারণা নিতে না পারেন এক্ষেত্রে আপনার  ব্যবসা লাভবান হতে নাও পারে।এজন্য আপনাকে কিছু রিসার্চ করতে হবে যার ফলে আপনি আপনার ব্যবসায় মার্কেট বা প্রতিযোগিতাপূর্ণ মার্কেট আপনি যাচাই বাছাই করতে পারেন।


উপরোক্ত বিষয়গুলো যদি আপনি মানতে পারেন তাহলে আপনি একজন নিখুঁত সুনাম কৃত ভালো ব্যবসায়ী এবং সফল উদ্যোক্তা হতে পারবেন। এছাড়াও ব্যবসায়িক সম্পর্কে আরও অনেক তথ্য আমাদের সাইটে আপনি পাবেন সেগুলো অবশ্যই পড়ে নিবেন।