Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

মেয়েদের মাসিক বা পিরিয়ডের সময় ছোট্ট ভুলে মৃত্যু ঘটাতে পারে

 

girls-period
girls-period

মাসিক বা পিরিয়ড হলো একটি মেয়ের গর্ব কারণ সে বাচ্চা দানে কতটা পরিপূর্ণ তা মাসিকের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। একটা মেয়ের প্রতি মাসের নির্দিষ্ট তারিখে বা নির্দিষ্ট তারিখের আশেপাশে এটি হয়ে থাকে। 

মেয়েদের মাসিক বা পিরিয়ডের সময় অসতর্কতা 

রেগুলার মাসিক হওয়া একটা মেয়ের জন্য খুবই ভালো তবে ২/৪ দিন আগে পরে হতেই পারে। অনেক মেয়ে আছে যাদের ২/৩ মাস ও মাসিক বা পিরিয়ড হয় না এটা কোনো সমস্যার কারণে হতে পারে তাই এমনটা হলে অবশ্যই জানাশোনা কারো সাথে যোগাযোগ করা উচিত। একটি মেয়ে প্রতিটা মাসে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য দিয়ে পার করে যখন সে অনেক কষ্ট পায়৷ 

মাসিক বা পিরিয়ডের সময়টাতে একটা মেয়ে অনেক যুদ্ধের মধ্য  দিয়ে কাটে। ৭/১০ দিন ধরে এটা হয়ে থাকে তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৩/৪ দিনেও ভালো হয়ে যায়। একটা মেয়ে প্রতি মাসে এটা পার করে বাচ্চা দানের জন্য নিজেকে উপযুক্ত করে তোলে। তবে সমস্যাটা তখনি হয় যখন গুরুত্ব না দেয়। একটা মেয়ের জন্য এই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সব নিয়ম মানা বাধ্যতামূলক। মাসিকের সময় কিছু ভূলের কারণে অনেক কিছুই হয়ে যেতে পারে যা আপনার কল্পনার ভিতরেও নেই। বয়ঃসন্ধির সময় থেকে এটা শুরু হয়ে থাকে তখন একটা মেয়ের ভিতর অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটে। 

এই সময়ে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় যেমন একটা মেয়ে হটাৎ মোটা হয়ে যায় বা শরীরের কিছু পরিবর্তন ঘটে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক মেয়েদের শরীরের চামড়া ফেটে মোটা হয়ে যায় এমনকি হঠাৎ লম্বা হয়ে যায়৷ একটা মেয়ের এই সময়ে নিজেকে অনেক সময় দিতে হয়। 

>মেয়েদের স্তন বড় ও টাইট করার উপায়

>মেদ মুক্ত শরীর পান- ১৫ দিনে


মেয়েদের মাসিক বা পিরিয়ড হওয়া একটা কমন বিষয়। প্রতিটা মেয়েই এর কষ্ট সহ্য করে থাকে। একটা নির্দিষ্ট বয়স থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট বয়স প্রর্যন্ত মাসিক হয়ে থাকে। আমাদের দেশে মেয়েদের ১৪/১৫ বসর থেকেই এটা শুরু হয় আবার শরীরের কন্ডিশন অনুযায়ী বেশি বয়স বা কম বয়সেও হতে পারে। 

অনেক মেয়েরা এটাও জানেনা মাসিক বা পিরিয়ড কি কিংবা পিরিয়ডের সময় অবহেলার কারনে বড় কোনো দূর্ঘটনা ঘটে যায়। 

মেয়েদের মাসিক বা পিরিয়ড কি ? 

মাসিক হলো একটা মেয়ের প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ে ওই পথ দিয়ে রক্ত বা রক্ত পিন্ড বেড় হওয়া এবং এটা কয়েকদিন প্রর্যন্ত চলতে থাকে এই সময়টাকেই পিরিয়ড বলে। মাসিক বা পিরিয়ড হওয়া মানে আপনার গর্ভাশয়টি গর্ভধারণ এর জন্য প্রস্তুত হওয়া। মাসিক বা পিরিয়ডের একটি চক্র আছে যা ২১ দিন থেকে শুরু করে ৩০/৩৫ দিন পর পর হয় তবে শরীরের কিছু সমস্যার জন্য কম বা বেশ ও হতে পারে। অনেক মেয়েদের পিরিয়ড হতে অনেক সময় লাগতে পারে তবে এটা নির্ভর করে আপনার মাসিক চক্রের ওপর। 

প্রথম অবস্থায় বয়ঃসন্ধিকালে একটা মেয়ের মাসিক হলে মেয়েরা খুব ভয় পেয়ে যায় কারণ সে এটার সম্পর্কে জানেনা। তখন তার মনে অনেক প্রশ্ন জাগে কংবা ভয়ে ভয়ে থাকে তবে এটা নিয়ে লজ্জা না পেয়ে এটার সম্পর্কে জানাটাই ভালো। একটি মেয়ের উচিত প্রথম অবস্থাই এই বিষয়টি তার পরিবারের কোন মহিলাকে জানানো যাতে করে সে বুঝিয়ে দিতে পারে কিভাবে কি করা প্রয়োজন। 


মেয়েদের মাসিক বা পিরিয়ড হলে করণীয় 

পিরিয়ড বা মাসিক এর সমটাতে আপনার সতর্ক থাকা জরুরি  কারণ ছোট একটু ভুলের কারনে আপনার বড় দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। একটি মেয়ে যখন মাসিক হয় তখন তার ওই পথ দিয়ে বের হওয়া রক্ত পিন্ড গুলো পরিষ্কার করতে হয়ে তবে বর্তমান যুগে বার বার পরিষ্কার করার প্রয়োজন হয় না কারণ বাজারের বিভিন্ন প্যাড পাওয়া যায়। মাসিক শুরুর সময় একবার প্যাড পরলে ১২/১০ ঘন্টা সেটা পরে থাকা যায়।

 অনেক সময় দেখা যায় অনেক মেয়েরা প্যাড না পরে ওই পথের ওইখানে টিস্যু রেখে দেয় যাতে করে রক্ত গুলো চুষে নিতে পারে। আপনি কি একবার ও ভেবে দেখেছেন আপনি কতোটা ভুল করছেন । যোনি পথের রাস্তাটি আপনার ডিম্বাশয় প্রর্যন্ত গেছে একবার যদি টিস্যুর একটু টুকরা রা অংশ আপনার ভিতর চলে যায় তাহলে বড় কোন দূর্ঘটনা  হতে বেশি সময় লাগবে না।

একটি মেয়ের ভিতরের ডিম্বাশয় পর্দা খুবই পাতলা ও সুক্ষ তাই কোন টিস্যুর অংশ ভিতরে চলে যায় তাহলে বিপদ আপনার সন্নিকটে। তাই মাসিক বা পিরিয়ডের সময় সতর্ক থাকুন এবং  বিশ্রমে থাকুন। আপনার ছোট একটু ভুল আপনার মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই সব সময় প্যাড পরার চেষ্টা করুন কখনও টিস্যু বা অন্যকিছু দিয়ে মুছবেন না তবে পাতলা নরম কাপড় দিয়ে মুছতে পারেন।

হাতের কনুই ও পায়ের হাটু- ফর্সা করুন