Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

টিস্যু পেপার দিয়ে কমলা ও মাল্টা গাছের চারা তৈরী

 

টিস্যু পেপার দিয়ে কমলা ও মাল্টা গাছের চারা তৈরী
চিত্রঃ কমলা ও মাল্ট গাছের চারা
 

টিস্যু পেপার দিয়ে কমলা ও মাল্টা গাছের চারা তৈরি প্রক্রিয়া এটা কি আপনার কাছে জটিল মনে হচ্ছে? এই পদ্ধতি জটিল মনে হলেও এটি অনেক সহজ একটি পদ্ধতি। টিস্যু পেপার থেকে জন্ম নিবে সুন্দর সুন্দর কমলা মাল্টা গাছের চারা। টিস্যু পেপার দিয়ে কমলা মাল্টা গাছের চারা তৈরি একটি উন্নত চাষাবাদ প্রক্রিয়া।


একটি বীজ ও নষ্ট হবে না সবগুলো থেকে সুন্দর মত চারা তৈরী করতে পারবেন। টিস্যু পেপার দিয়ে কমলা ও মাল্টা গাছের চারা তৈরি প্রক্রিয়া যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেন তাহলে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে ভালো ফলন দিবে।


পাশাপাশি কমলা মাল্টা গাছের চারা তৈরি করে বাণিজ্যিকভাবে অনেক লাভবান হতে পারবেন। বিশেষ করে যারা বেকার তারাই দুটি ফলের চাষ করে অনেক লাভবান হতে পারেন। 


আমাদের দেশে কমলা, মাল্টা, আঙ্গুর, আপেল এসকল জাতীয় ফল চাষ করা সম্ভব। তবে সঠিক বাস্তবায়নের অভাবে এ সকল ফল আমাদের দেশে চাষ করলে ফলগুলো মিষ্টি হয় না। 


এ জন্য দরকার সঠিক পরিচর্যা এবং সঠিক জ্ঞান। তাছাড়া আমাদের দেশের মাটি এসকল ফলের জন্য একটু অনুপযুক্ত। কমলালেবু এবং জাম্বুরা জাতীয় ফল দুটির সংমিশ্রণ ঘটিয়ে  মাল্টা ফল গাছের চারা তৈরি করা হয়েছিল।


বাসা বাড়ির আশেপাশে কে শুরু করে এটি লাগিয়ে বাসার সোন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি আপনি এগুলো বাহিরে বিক্রি করতে পারেন। আপনি যদি খুব সহজ নিয়মে টিসু পেপার দিয়ে কমলা মাল্টা গাছের চারা তৈরী করতে চান, তাহলে এই পোস্ট গুরুত্ব সহকারে পড়তে হবে এবং সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। 

>পাতা থেকে লেবু গাছের চারা তৈরি

>মাত্র ৭দিনে বীজ থেকে ড্রাগন ফলের চারা তৈরি


আপনার যদি গাছগাছালি সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা থাকে কিংবা আপনি যদি নার্সারি করতে অনেক ভালোবাসেন তাহলে আপনি এই জাতীয় সকল ফলের চারা তৈরী করতে পারবেন খুব সহজে। কোন ঝামেলা কিংবা কোন ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই আপনি একটি বড় নার্সারি গড়ে তুলতে পারবেন। 


কমলা মাল্টা গাছের চারা তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করে প্রচুর অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। কেননা আমাদের দেশে মালটা এবং কমলা গাছের চারা অনেক ব্যয়বহুল এবং অনেক দাম দিয়ে মানুষ কিনা তাকে।


কমলা ও মাল্টা গাছের চারা তৈরি ও আধুনিক চাষাবাদ

মালটা, কমলা, জাম্বুরা, বাতাবি লেবু এগুলো অনেকটা একই রকমের ফল। আপনি যদি এই পদ্ধতিতে একটি ফল দিয়ে চারা তৈরি করতে পারেন তাহলে এই জাতীয় সকল ফলের চারা আপনি খুব সহজে তৈরি করতে পারবেন। 


টিসু পেপার দিয়ে কমলা মাল্টা গাছের চারা কেন তৈরি করবেন। বর্তমান সময়ে অনেকেই এসকল গাছের প্রতি বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। অনেক ব্যক্তি কমলা মাল্টা চাষ করে সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন।


 আধুনিক প্রতিযোগিতার এই যুগে অনেক শিক্ষিত বেকার মানুষ এখন সকল ফলের চাষ করে অনেক ভালো সফল। হচ্ছে আপনি যদি কমলা মাল্টা চাষ করতে পারেন তাহলে মাত্র কয়েক মাসেই আপনি সফল হতে পারবেন। সঠিক মন মানসিকতা এবং বাস্তবায়ন আপনাকে সফল করে দিতে পারবে।


আমাদের দেশে কমলা এবং মাল্টা ফলের দাম অনেক বেশি। কেননা আমাদের দেশে এখনো সকল ফল চাষের উপযুক্ত হয়ে ওঠেনি তাই বাহিরের দেশ থেকে সকল ফল আমদানি করতে হয়। 


আমরা যদি এ সকল ফল আমাদের দেশে উৎপাদন করার চেষ্টা করি তাহলে খুব সহজেই আধুনিক উদ্ভিদবিজ্ঞানের পদ্ধতিতে এসকল ফল খুব সহজেই উৎপাদন করা সম্ভব। যেমন টিসু পেপার দিয়ে কমলা মাল্টা গাছের চারা হান্ডেট পার্সেন্ট তৈরি করতে পারবেন এবং প্রতিটা বিজি 100% জার্মিনেশন হবে।


আপনি পড়ালেখার পাশাপাশি এ সকল দামী ফলগুলোর চাষ করতে পারেন। অনেকের নার্সারি করার খুব বেশি শখ থাকে তাদের জন্য এসকল গাছের চারা তৈরি করা অনেক শখের বিষয়। 


তাছাড়া এ সকল উদ্ভিদের চারা তৈরি করে সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভালো ফলন আনতে পারলে নিজের মনের ভেতর একটি সাকসেস ভাব প্রকাশ পায়। এছাড়াও আপনি অনেক রকম অভিজ্ঞতা পাবেন।


টিস্যু পেপার দিয়ে কমলা গাছের চারা তৈরি প্রক্রিয়া

প্রথমে একটি কমলা লেবু বাজার থেকে কিনে আনুন অবশ্যই ভালো মিষ্টি তাজা দেখে কমলালেবু কিনুন। কমলালেবু খুলে বীজগুলো বের করুন। সাবধানতার সাথে বীজগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন।


 এখন বীজের উপরে থাকা একটি আস্তরণ বা খোসা ভালো করে খুলে নিন। কারণ সঠিক অঙ্কুরোদগম হওয়ার জন্য খোসা গুলো খুলে নিতে হবে। তাছাড়া এই বীজের উপরে আবরণের কারণে কমলা গাছের চারা হওয়া অনেকটা নির্ভর করে। 


একটি পাত্র বা বক্স নিন পাত্রের ভিতর টিস্যু পেপার বিছিয়ে তার উপরে কিছুটা পানি স্প্রে করে নিন। এখন কমলা লেবুর বীজ গুলো টিস্যু পেপারের উপরে 1 ইঞ্চি দূরত্ব বজায় রেখে বিছিয়ে দিন। 


কিছুটা দূরত্ব রাখা উচিত এরপরে টিস্যুর উপরে আরেকটু পানি স্প্রে করুন। এরপরে টিস্যুটি ভাজ করে নিন অর্থাৎ কমলা লেবুর বীজ টিস্যু পেপারের ভিতর রেখে ভাজঁ করুন। 


তারপরে আরও কিছুটা পানি স্প্রে করে দিন তবে খেয়াল রাখবেন পানি যেন বেশি না হয়। এরপরে টিস্যু পেপার টি বক্সের ভেতরে রেখে বক্সটি আটকে দিন। অর্থাৎ বক্সের ভেতরে যেন কোন আলো-বাতাস না যায়। এরপর বক্সটি একটি শুষ্ক স্থানে রেখে দিন।


টবে কমলা গাছের চারা লাগানোর নিয়ম

সাত থেকে ৮দিন পর বক্সটি খুলে দেখতে পারবেন যে কমলালেবুর বীজ থেকে ছোট ছোট অনেক গাছের জন্ম নিয়েছে। এখন সেগুলো খুব আস্তে বের করে নিন। যেহেতু কমলালেবুর চারা গুলো অনেক ছোট থাকবে তাই সাবধানতার সাথে এই কাজগুলো করতে হবে। 


আগে থেকেই তবে কমলা গাছের চারা লাগানোর জন্য মাটি প্রস্তুত করে রাখতে হবে। ছোট ছোট কয়েকটি টব নিয়ে সেগুলোতে খুব হালকা ধরনের মাটি এবং বিভিন্ন রকমের জৈব সার অর্থাৎ গোবর সার নিয়ে মাটি প্রস্তুত করে রাখুন। 


এরপরে মাটিতে ছোট ছোট গর্ত করে প্রতিটা কমলা গাছের চারা গর্তের ভিতর সাবধানতার সাথে লাগিয়ে দিন। প্রতিটা টবে দুটি থেকে তিনটি কমলা গাছের ছোট চারা লাগানো। যদি একটি থেকে দু'টি চারা মরেও যায় তাহলে অন্য একটি চারা ভালো থাকবে এবং এই কাজটি করতে হবে খুবই সতর্কতার সাথে।


সবশেষে কমলা গাছের চারা লাগানোর টবগুলো খোলা স্থানে রেখে দিতে পারেন। সঠিকভাবে পরিচর্যা করুন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি অধিক ফলন পাবেন। এই পদ্ধতিতে চাষ করতে পারে কম সময়ে অধিক পরিমাণ কমলা গাছের চারা তৈরি করতে পারবেন।


বাণিজ্যিকভাবে টিসু পেপার দিয়ে কমলা গাছের চারা তৈরি পদ্ধতি অনেক সুবিধাজনক। কোনরকম ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই আপনি অনেক কমলা গাছের চারা তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি যদি বিভিন্ন ফলের চাষ করে থাকে সেগুলোর সাথে কমলা গাছের চারা লাগিয়ে চাষাবাদ করতে পারেন।


টিস্যু পেপার দিয়ে মাল্টা গাছের চারা তৈরি প্রক্রিয়া


প্রথমে ভাল জাতের তাজা ও মিষ্টি মাল্টা বাছাই করুন। এরপরে মাল্টা থেকে বীজ সংগ্রহ করে ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর একটি বক্স নিয়েন বক্সের ভিতরে টিস্যু পেপার ভালোমতো বিছিয়ে দিন। 


টিস্যু পেপার এর উপরে ১ ইঞ্চি দূরত্ব রেখে মাল্টার বীজ বিছিয়ে দিন। এরপরে কিছু পরিমাণ পানি স্প্রে করে দিন। টিস্যু পেপার বক্সের ভিতরে রাখুন অর্থাৎ মাল্টা ফলের বীজ গুলো টিসু পেপার দিয়ে মুড়িয়ে বক্সের ভিতরে সংরক্ষণ করে রাখুন। 


পরিমান মত পানি দিন তবে বেশি পানি দিলে বীজগুলো পচেঁ যেতে পারে। এমনভাবে পানি দিন যেন সাত থেকে আট দিনে কিছুতেই শুকিয়ে যায়। বক্সটি শুষ্ক স্থানে রেখে দিন তবে দুটি রোদের তাপে রাখবেন না।

>টিস্যু পেপার দিয়ে আপেল গাছের চারা তৈরি

মাল্টা গাছের চারা টবে লাগানোর নিয়ম

১২ থেকে ১৫ দিন পর বক্সটি খুলে দেখতে পারবেন যে মালটা গুলোর বীজ থেকে শিকড় বের হয়েছে। এখন কয়েকটি টবে আগে থেকেই মাটি প্রস্তুত করে রাখুন। 


আলগা মাটি এবং ঝুরঝুরে মাটি সাথে বিভিন্ন জৈব সার দিয়ে মিক্সড করে প্রস্তুত করে রাখুন। এরপরে মাটির ভিতরে ছোট ছোট গর্ত করে নিন। প্রতিটা টবে দুটি থেকে তিনটি বীজ রোপন করুন। 


মালটা বীজের যেখান দিয়ে শিকড় বের হয়েছে সেটা মাটির ভিতরে রাখুন এবং উপর দিয়ে হালকা করে মাটির আবরণ দিয়ে চাঁপা দিন। তারপরে আপনি টপ খোলামেলা স্থানে রেখে দিতে পারেন।


টপ গুলোর সঠিক পরিচর্যা করুন এবং নিয়মিত পানি দেন। তবে চারা বড় না হওয়া পর্যন্ত বেশি পানি দেবেন না এতে করে মাল্টা গাছের গোড়া পচেঁ যেতে পারে।


তৈরিকৃত কমলা  ও মাল্টা গাছের চারা আপনি টবে করে বাসার আশেপাশে রাখতে পারেন। এছাড়াও আপনি বাণিজ্যিক কাজের জন্য কমলা মাল্টা গাছের চারা তৈরি করতে পারেন। 


কমলা ও মাল্টার আধুনিক চাষাবাদ করার জন্য বীজতলা তৈরি করে সেখানে তৈরি করতে পারেন। তবে টিসু পেপার দিয়ে কমলা মাল্টা গাছের চারা তৈরি পদ্ধতি 100% নিরাপদ।


উপরের আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি প্রয়োগ করে আপনি খুব সহজে টিস্যু পেপার দিয়ে কমলা মাল্টা গাছের চারা তৈরি করতে পারেন। আপনাদের বুঝতে কোনরকম সমস্যা হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন কিংবা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

বীজ থেকে মরিচ গাছের চারা তৈরির ডিজিটাল পদ্ধতি