মোবাইলের বাটন বা কিপ্যাড সার্ভিসিং করার উপায়
 |
| চিত্রঃ মোবাইল সার্ভিসিং |
মোবাইলের বাটন বা কিপ্যাড নষ্ট হয়ে গেলে অনেকেই সেটাও ঠিক করে নিতে পারে না। দেখা যায় মোবাইলের কিপ্যাড এবং বাটন কাজ করে না যার ফলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়াও মোবাইলের বাটন বা কিপ্যাড অনেক সময় জ্যাম হয়ে যায় যার ফলে অনেক সময় এগুলো কাজ করে না।
মোবাইলের কিপ্যাড সার্ভিসিং করার সহজ পদ্ধতি
মোবাইলের বাটন বা কিপ্যাড ম্যাক্সিমাম সময় দেখা যায় অনেকদিন ব্যবহার করার ফলে বা কোনো কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হলে সেটা আর কাজ করে না। কিংবা কিপ্যাড গুলো ক্লিক করলে সঠিকভাবে কাজ করে না।
এ ক্ষেত্রে দেখা যায় সকল ইউজার বা দর্শকদের এটা নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। তাছাড়াও অনেক সময় বিভিন্ন রকমের সমস্যার কারণে কিপ্যাড গুলো কাজ করে না বা নষ্ট হয়ে যায়।
আপনার মোবাইল যখন পানিতে পড়ে যায় বা হাত থেকে নিচে পড়ে কোন আঘাতপ্রাপ্ত হয় তখনই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি হয়ে থাকে। তবে সে ক্ষেত্রে দেখা যায় একটি মোবাইল ফোন পানিতে পানিতে পড়ে তখন কিপ্যাড গুলো কাজ করে না।
তখন অনেক সমস্যায় পড়তে হয় কিন্তু আপনি যদি উপায় জানেন তাহলে আপনি মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে আপনি মোবাইলের কিপ্যাড গুলো ঠিক করে নিতে পারবেন।
মোবাইলে কিপ্যাড বাটন নষ্ট হয়ে যায় তখন দেখা যায় সার্ভিসিং করার জন্য কোন লোকের কাছে নিতে হয়। তাছাড়া এক্ষেত্রে অনেক টাকা খরচ হয়ে যায় এবং সার্ভিসিং চার্জ দিতে হয়।
আপনি যদি সঠিক উপায়ে জানেন তাহলে একটি মোবাইলের কি প্যাড বা বাটন কাজ না করলে সেটা খুলে মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে আপনি সেটা সম্পূর্ণ রূপে ঠিক করে নিতে পারবেন। তাছাড়া এগুলো আগের চাইতে অনেক ভালো কাজ করবে।
নরমাল বা বাটন মোবাইলের কিপ্যাড বিভিন্ন কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অনেকদিন ব্যবহার ফলে দীর্ঘদিন ব্যবহার করার ফলে ধুলাবালি ভিতরে ঢুকে বা কোনো কারণে কিপ্যাড গুলো নষ্ট হয়ে যায়।
আপনি যদি এগুলো সঠিক উপায়ে পরিষ্কার করে নিতে পারেন সে ক্ষেত্রে এসকল সমস্যাগুলো হয় না। বাটন পরিষ্কার করে নিলে তখন খুব ভালো কাজ করে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় কারো মোবাইল যখন পানিতে পড়ে যায় ভিজে যায় তখন সে সার্ভিসিং করার জন্য দোকানে নিতে হয়। তাছাড়া নেয়ার পর হয়তো দেখা যায় মোবাইলের কিপ্যাড গুলো কাজ করে না।
বিশেষ করে পানি লাগলে মোবাইলের কিপ্যাড সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে যায়। তখন আপনি একটি উপায় অবলম্বন করে আপনার মোবাইলের কিপ্যাড বাটন খুব সহজেই ঠিক করে নিতে পারবেন।
এ জন্য আপনাকে নিচের কয়েকটি টিপস ফলো করতে হবে। আপনি যদি কখনো এই সমস্যা পড়েন তাহলে এই পোস্ট আপনার কথা সেভ করে রাখতে পারেন, এবং এই পোস্ট দেখে আপনি আপনার মোবাইলের বাটন বা কিপ্যাড ঠিক করে নিতে পারেন।
একটি মোবাইলের কি প্যাড বা বাটন খুব সহজে নষ্ট হয় না। দেখা যায় দীর্ঘদিন ব্যবহার করার পরেও মোবাইলের বাটন খুব ভালো থাকে। কিন্তু অনেক সময় কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনার কারনে মোবাইলের বাটন গুলো নষ্ট হয়ে যায়।
তখন আপনি এটা নিয়ে অনেক বিরম্বনা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হন। আজকে আপনাকে এমন কয়েকটি পদ্ধতি বলব যেগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার মোবাইলের বাটন যদি নষ্ট হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করতে পরেন।
মোবাইলে পানি লাগলে কিভবে ঠিক করবেন
আপনার ফোনের বাটন বা কিপ্যাড যদি পানি জাতীয় কোন কিছু লাগার ফলে কাজ না করে সেক্ষেত্রে আপনাকে এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। প্রথমত আপনি আপনার মোবাইলটি খুব ভালো করে খুলে নেবেন।
মোবাইল সতর্কতার সাথে খুলে নেয়ার পরে আপনার মোবাইলে কিপ্যাড অর্থাৎ কিভাবে কিপ্যাড এর উপরে হয়তো অনেক পানি জমে থাকতে পারে সেগুলো মুছে নিবেন। এর পরও যদি কাজ না করে এক্ষেত্রে আপনি আপনার মাদারবোর্ডের যে কিপ্যাড রয়েছে।
কিপ্যাড উপরে আঠা টেপ জাতীয় কিপ্যাড দেখতে পাবেন আপনি এটি জাতীয় কিপ্যাড কিপ্যাড উঠে দেখবেন ভিতরে অনেক পানি জমে আছে। তখন সেগুলো খুব সহজে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
অনেক সময় কি বাটনের ভিতরে পানি ঢুকে থাকে যার ফলে কাজ করে না। তাই আপনাকে অবশ্যই ঘাম জাতীয় যেটা থাকে সেটা খুব ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
এছাড়া বাটন প্যাড এমন ভাবে পরিষ্কার করতে হবে যেন কোন পানি না থাকে। এক্ষেত্রে এর পরবর্তী সময়ে আপনি খুব সহজেই আপনার ফোনের বাটন বা কিপ্যাড ঠিক করে নিতে পারবেন এবং এটা আগের চাইতে অনেক ভালো কাজ করবে।
ফোনের বাটন ঠিক করার সহজ উপায়
আপনার ফোনের কিপ্যাড বা বাটন যদি দীর্ঘদিন ব্যবহার করার পর হঠাৎ কোনো এক সময় কাজ না করে, বা নষ্ট হয়ে যায় তখন আপনি আপনার ফোনটি খুলবেন।
খোলার পরে আপনার কিপ্যাড বাটনগুলো যে মাদার ভরে থাকে। অর্থাৎ মাদারবোর্ড এর উপরে যে প্লাস্টিক টেপ থাকে। যেটা কিপ্যাড কে চাপা দিয়ে রাখে সেই প্লাস্টিক আপনি উঠাবেন।
উঠানোর পরে আপনার কিপ্যাডের যে বাটনগুলো রয়েছে বাটন গুলোতে অনেক ময়লা থাকতে পারে। প্লাস্টিক টেপের অংশটি উঠানো হলে আপনি কি প্যাড এর প্রতিটি অংশে দেখবেন স্টিলের ছোট ছোট টিপস এর মত রয়েছে।
যেগুলো আপনি হালকা কোনো লোহার চাকু দিয়ে সেগুলো ঘষে দেবেন। বাটন এর মাদারবোর্ড পরিষ্কার করে দিবেন। এক্ষেত্রে আপনি যখন আপনার মোবাইলের বাটন আঠা জাতীয় বা ধুলাবালির কারণে অনেক সময় বাটনগুলো কাজ করে না।
আবার অনেক সময় দেখা যায় বাটনগুলোর ভিতরে কোন কিছু প্রবেশ করার ফলে বাটনগুলো অনেকটাই ডেমেজ হয়ে যায়। কিন্তু বাটনগুলো কাজ করতে না পারে তাই আপনার উচিত হবে এটা খোলার পরে কবরের মতো উঠে এগুলো পরিষ্কার করে নেয়।
তাহলে আপনার ফোনের বাটন বাকিটা আগের চাইতে অনেক ভালো কাজ করবে।
একটি মোবাইলের বাটন বা কিপ্যাড তখনই ভালো কাজ করে যখন বাটনটি ক্লিক করার পরে সংযোগ স্থাপন হয়। তাছাড়া মাদারবোর্ড এর সাথে সংযোগ স্থাপিত হয় তখন ফোনের বাটন কাজ করে।
অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন কারণে বা বিভিন্ন সমস্যার কারণে বাটনগুলো সংযোগ স্থাপন না করার ফলে কাজ করে না। এক্ষেত্রে তখন ফোনের কিপ্যাড বাটন নষ্ট হয়ে যায়।
তবে এটি কোন বড় সমস্যা নয় আপনি চাইলে খুব সহজেই ঘরে বসেই সমাধান করে নিতে পারেন। অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই মোবাইলের বাটন কাজ না করার ফলে সেটা ফেলে দেয়।
ফোনের কিপ্যাড বা বাটন তখনই নষ্ট হয় যখন সংযোগ স্থাপন না হয়। এজন্য আপনার উচিত হবে এমন ভাবে পরিষ্কার করা বা সমস্যা সমাধান করা যাতে করে কি প্যাড বা বাটনগুলো সংযোগ ঠিকমত হয়।
এই উপায়ে আপনার ফোনের বাটন গুলো খুব ভালো কাজ করবে। অনেক সময় দেখা যায় ফোনের বাটন ক্লিক করার যে স্টিলের ছোট টিপস থাকে সেটা নষ্ট হয়ে যায়।
এমন ক্ষতিগ্রস্ত হলে আপনি তখন অন্য কোন নষ্ট ফোনের থেকে এই স্টিলের ছোট টিপস গুলো আপনি লাগিয়ে নিলে আপনার ফোনের কিপ্যাড খুব সুন্দর ভাবে কাজ করবে। এর ফলে যাবতীয় যখন সমস্যা আছে সকল সমস্যাগুলো ঠিক হয়ে যাবে।
আপনার মোবাইল বা ফোনের বাটন যখন নষ্ট হয়ে যাবে তখন নিজের বাসায় বসে ঠিক করার চেষ্টা করুন। কেননা অনেক সময় নিজে অনেক কিছু ঘাটাঘাটি করার ফলে নতুন নতুন কিছু অভিজ্ঞতা হবে।
তবে অবশ্যই আপনি যদি না পারেন তাহলে জেনে রিসার্চ করে কাজঠি করুন। কাজ না জেনে আপনি এটা খুলে পরে মোবাইলটা নষ্ট করে দিবেন না। কেননা আপনি যদি না জেনে কোন কিছু করতে যান তখন হিতের বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি রয়ে যায়।
তাই অবশ্যই আগে ভালো করে জেনে তারপর আপনি এই এক্সপেরিমেন্ট করবেন। কোন কিছু না জেনে এ সকল সার্ভিসিং কাজ করা উচিত নয়। বাটন ঠিক করার এক্ষেত্রে আপনার বড় সমস্যা পারে।
তাই অবশ্যই আগে ভালো করে জানবেন কিভাবে কিপ্যাড নষ্ট হয়ে গেলে সেটা খুলতে হয় এবং ঠিক করতে হয়। তারপরে আপনি সেটা ঠিক করার জন্য অভিযান চালাবেন। এর ফলে আপনি ফলাফল ভাল পাবেন এবং আপনার নতুন নতুন বিষয় জানা হবে।
বাটন মোবাইলের এমন এমন কিছু ছোটখাটো সমস্যা হয় যেগুলো ঠিক করতে আপনি সার্ভিসিং সেন্টারে যাওয়া লাগে। তাছাড়া আপনার প্রচুর অর্থ চলে যায়।
আপনি যদি এ সকল ছোট ছোট সার্ভিসিং জানেন সে ক্ষেত্রে আপনি নিজের বাসায় বসেই এগুলো ঠিক করে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার সার্ভিসিং করাতে যে টাকা দিতে হতো সেটা এখানে দিতেই হবে না।
আপনার অনেকটাই খরচ বেঁচে যাবে তাই এ সকল ছোটখাটো বিষয় আপনি নিজেই বাসায় বসে সমাধান করার চেষ্টা করুন। তবে বড় কোন সমস্যা বা মেজর সমস্যা হলে তখন আপনি সার্ভিসিং সেন্টার নিতে পারেন।
এটা ছোটখাটো সমস্যা আপনি বিভিন্ন গুগোল সার্চিং এর মাধ্যমে ভিডিও দেখে আপনি এগুলো সমাধান করে নিতে পারেন।
মোবাইলের বাটন বাকিটা নষ্ট হয়ে গেলে কিভাবে ঠিক করবেন এই সম্পর্কে তো পোস্ট যদি আপনার ভাল লাগে থাকে তাহলে অবশ্যই কোন মন্তব্য জানাবেন। এছাড়া ছোটখাটো এসকল ইলেকট্রনিক্স বিষয় সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা আপনাদেরকে শেখানোর কাজে সাহায্য করার চেষ্টা করবো।