Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

মরা গাছ থেকে গাঁদাফুলের চারা তৈরি

 

গাঁদা ফুলের চারা
চিত্রঃ গাদাঁফুলের চারা তৈরী 

মরে যাওয়া গাঁদা ফুল থেকে নতুন গাঁদা ফুলের চারা তৈরী এটা হয়তো টাইটেল দেখে আপনারা অনেকেই কিছুক্ষণ ভাববেন এবং বলতে পারেন যে মরে যাওয়া গাছ থেকে কিভাবে আবার গান নতুন গাছের চারা তৈরি সম্ভব।


অনেকেই হয়তো এটি ভাবছেন কীভাবে সম্ভব একটি মরে যাওয়া গাছ থেকে কিভাবে নতুন চারা এবং স্বাস্থ্যবান চারা তৈরি করা যায়। বর্তমান সময়ে আধুনিক চাষাবাদ এবং টেকনোলজি নিয়ে কাজ করলে আপনি অনেক মরে যাওয়া উদ্ভিদ থেকে খুব সহজেই নতুন গাছের চারা তৈরি করতে পারবেন। 


নতুন উপায়ে গাঁদা ফুলের চারা তৈরী

যেমন ধরুন একটি গাধা ফুল যখন মরে যায় তখন এটি বিভিন্ন উপায়ে মাধ্যমে আপনি সফলভাবে স্বাস্থবান গাঁদা ফুলের নতুন চারা তৈরি করতে পারবেন। 


আপনাদের বাসা বাড়ির আশেপাশে অনেক সময় দেখা যায় গাঁদা ফুল গাছ যখন অনেক বড় হয়ে যায় কিংবা গরমের সময় তীব্র পানি শূন্যতা হয় তখন বিভিন্ন কারণে মরে যেতে শুরু করে। 


তখন এটি আপনি বিভিন্ন উপায় নতুন ভাবে নতুন উপায় নতুন চারা তৈরি করতে পারেন। অনেক সময় দেখবেন একটি গাধা ফুল যখন বড় হয়ে যায় তখন এর পাতা গুলো আস্তে আস্তে শুকিয়ে যেতে শুরু করে এবং আস্তে আস্তে এটি মরে যায়। 


>পাতা থেকে লেবু গাছের চারা তৈরি পদ্ধতি

>বীজ থেকে ড্রাগন ফলের চারা তৈরি- মাত্র ৭দিন

>বীজ থেকে মরিচ গাছের চারা তৈরির ডিজিটাল পদ্ধতি


এর ফলে আপনি যদি তখন এগুলো সঠিকভাবে সঠিক চাষাবাদ টেকনোলজির মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনি নতুন ভাবে আবার অনেক গাঁদা ফুলের চারা তৈরি করতে পারবেন। সেগুলোর ফলন এতটাই ভাল হবে যে আপনি বীজের চারা তো এত ভাল ফলন পাবেন না।


একটি মরে যাওয়া গাঁদা ফুল থেকে কিভাবে নতুন চারা তৈরি করবেন এটি অনেকেই এখনো জানেনা। তবে এই পদ্ধতি খুবই সহজ আপনি যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেন তাহলে এই পদ্ধতিতে আপনার বাড়ির সকল মরে যাওয়া গাঁদা ফুল থেকে  স্বাস্থবান গাঁদা ফুলের নতুন নতুন চারা তৈরি করতে পারবেন। 


তাছাড়া এগুলোতে মাত্র এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই ফলন আসতে শুরু করবে। তবে এজন্য আপনার অনেক রিসার্স বা জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ থেকে সঠিক জ্ঞান নিতে হবে।


গাঁদা ফুলের আধুনিক চাষাবাদ

একটি গাঁদা ফুলের গাছ যখন পুরনো হয়ে যায় তখন এর ফলন অনেকটা কমে যেতে শুরু করে। অর্থাৎ সঠিক পরিচর্যা এবং যত্নের অভাবে গাঁদা গাছের ফলন আস্তে আস্তে কমে যায়। আপনি গাছের যতবেশী পরিচর্যা করতে পারবেন সে কাছ থেকে প্রচুর ফলনের আশা করতে পারেন। 


তাছাড়া গরমের সময়ে যখন প্রচন্ড গরম থাকে তখন মাটি শুকিয়ে যায় এর ফলে গাঁদা গাছের ফল অনেকটাই কমে যায়। তাছাড়া গরমকালের গরমে পাতা শুকিয়ে যায় এবং আস্তে আস্তে গাঁদা ফুল গাছ মরে যেতে থাকে। ঠিক তখনই আপনি সেটিকে নতুন উপায় যারা কাজ করতে পারে এবং সেগুলো আবার নতুন করে লাগাতে পারেন।


গাঁদা ফুলের চারা এক বছরের তা পরবর্তী বছরে সংরক্ষণ করে রাখার জন্য এই পদ্ধতি একটি অন্যতম সেরা পদ্ধতি। দেখা যায় একটি গাঁদা গাছের চারা ছয় মাস বা দশ মাস পরে সেগুলো মরে যায়। 


সেগুলো যদি আপনি পরবর্তী শীতকাল প্রর্যন্ত  উপায়ে সংরক্ষণ করে রাখতে চান যাতে করে পরবর্তী সময়ে সকল চারা কেনার প্রয়োজন না হয়। সে ক্ষেত্রে আপনি এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে মরে যাওয়া গাঁদা ফুল থেকে নতুন গাঁদা ফুলের চারা তৈরি করে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। 


আপনি যখন দেখবেন গাঁদা ফুলের চারা আস্তে আস্তে মরতে শুরু করে তখন নিয়মিত পানি দিয়ে গাছগুলোর জীবিত রাখার চেষ্টা করুন।  তখনই আপনি সে গুলোকে কাটিং করে নতুন চারা গাছ তৈরি করুন। 


এছাড়াও গাঁদা ফুলের চারা বেশিদিন সময় বাঁচে না সেক্ষেত্রে সংরক্ষণ করে রাখা এটা আপনার কাছে অনেক চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়। আপনি প্রতিবছর বিভিন্ন ফুল গাছের চারা গাছ এবং গাঁদা গাছের চারা আপনি এই উপায়ে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।


আপনার বাসার আশেপাশে যখন গাঁদা ফুলের  পাতা শুকিয়ে যেতে শুরু করবে তখন আপনি এই পদ্ধতি প্রথমে ব্যবহার করো প্রথমে দেখবেন যে গাঁদা ফুলের নিচ থেকে শুরু করে উপর পর্যন্ত অনেকটা এছাড়া পাতা শুকিয়ে গেছে। 


তখন আপনি প্রতিটা গাঁদাফুলের প্রতিটা ডালের আগার অংশ অর্থাৎ উপরের অংশ কেটে নিবেন। এমন কাচি দিয়ে কাটবেন যাতে গাঁদা ফুলের ডাল থেতলো না হয়ে যায়। অর্থাৎ যাতে সমানভাবে কাটতে পারেন এমন যন্ত্র ব্যবহার করুন। 


আপনি চাইলে ধারালো ব্লেড দিয়ে এই কাজটি করতে পারবেন। কারণ গাঁদা গাছের ডাল অনেক নরম থাকে কেটে নেওয়ার পরে আপনি পাতা কেটে নিন। অর্থাৎ প্রতি টা গাঁদা ফুলের ডাল পরিমাণ কেটে নেওয়ার পরে নিচ থেকে চারটি থেকে পাঁচটি পাতা আপনি ফেলে দেবেন। 


অর্থাৎ যেগুলো যে সকল সংযোগ থেকে বের হবে তেমন দুই থেকে তিন ইঞ্চি পাতাগুলো কেটে দেবেন।

>টিস্যু পেপার দিয়ে আপেল গাছের চারা তৈরি

>টিস্যু পেপার দিয়ে কমলা ও মাল্টা গাছের চারা তৈরী


গাঁদা ফুলের চারা টবে লাগানোর নিয়ম

মরে যাওয়া গাঁদা ফুলের থেকে নতুন চারা তৈরি করে সেগুলো টবে লাগানোর খুবই সহজ। তবে এক্ষেত্রে আপনি যখন টবে লাগাবেন তার আগে থেকে টবের মাটি তৈরি করে নিতে হবে। ডাল থেকে আপনি যদি চারা তৈরী করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ভালো মাটির প্রয়োজন পড়বে। 


আপনি নদীর বালি বা ঘর বাড়ি তৈরি করা যে সকল লালচে বালি রয়েছে সেগুলোর ভিতরে নিরূপণ করতে পারেন। তবে যদি সাগরের বালি দিয়ে আপনি চারা করতে চান সে ক্ষেত্রে বালিগুলো আগে ধুয়ে নিবেন। 


কেননা সাগরের বাড়িতে প্রচুর পরিমাণ লবন রয়েছে। তাই অনেক সময় দেখা যায় এই বালি থেকে শিকড় নাও হতে পারে। এরপরে আপনি ভিতরে কিছু পুরোনো গোবর সার মিশিয়ে মাটি প্রস্তুত করে  অবশ্যই নিতে পারেন। 


যদি আপনার কাছে বালি না থাকে  তবে ঝুরঝরে মাটি তৈরী করে গাঁদা ফুলের ডাল যেগুলো নিয়েছিলাম সেগুলো রোপন করুন। অর্থাৎ মাটির নিচে দুই থেকে তিন ইঞ্চির বেশি পরিমাণ করবেন তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সকল অংশ থেকে বের হয় সেগুলো আপনি দুটি নিচে রাখলে হয়ে যাবে।


টবে গাঁদা ফুলের চারা রোপন করার সময় অবশ্যই সতর্কতার সাথে লাগাতে হবে। আপনি যখন গাঁদা ফুলের ডাল যখন করবেন তখন চাইলে কিছু রুট হরমোন কিংবা অ্যালোভেরা যোগ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তারা খুব দ্রুত বড় হয়ে যাবে এবং ফলন অনেক বেশি ভালো হবে। 


এছাড়াও মরে যাওয়া ডাল যখন বালির ভেতরের রোপন করবেন তখন যদি কোন প্রকার মুকুল থাকে সে ক্ষেত্রে সেগুলো ফেলে দিবেন। কেননা আপনি যখন চারা রোপন করবেন যদি কুড়ি মুকুল থাকে সেক্ষেত্রে সে বেঁচে থাকার জন্য অনেক যুদ্ধ করে। 


যার ফলে শিকড় বের হতে অনেক সময় লাগতে পারে। অর্থাৎ যদি ফুলের কলি থাকে সেজন্য আপনার মাটি থেকে সকল এনার্জি নিয়ে নেবে। ফলে গাছের শিকড় কোন এনার্জি পাবে না। এর ফলে শিকড় বের হতে অনেক সময় লাগতে পারে এবং গাছের রোগ আক্রান্ত দুর্বল হয়ে যেতে পারে।


টবে গাঁদা ফুলের আধুনিক চাষ

গাঁদা ফুলের ডাল রোপন এর সময় আপনি তার পরে কিছুটা পানি দিয়ে দিন। প্রথম দিন একটু বেশি পরিমাণ পানি দিবেন তারপরে প্রতিদিন অল্প অল্প পানি দিতে হবে। ডাল রোপন করার পরে আপনি তিন থেকে চার দিন পর এমন স্থানে রাখুন যেখানে আলো পড়ে কিন্তু সূর্যের আলো পড়ে না। 


অর্থাৎ সূর্যের আলো সরাসরি পড়ে না এমন স্থানে রাখুন। তিন-চারদিন পর সূর্য সরাসরি পড়ে এমন স্থানে রাখতে পারেন। এরপর আপনার থেকে দশ দিন পরে দেখবেন গাঁদা ফুল থেকে শিকড় বের হয়েছে।


 সেগুলো বের হওয়ার পরে আপনি সেগুলো নতুনভাবে মাটি প্রস্তুত করেন করে সেগুলো আপনি যেখানে রোপণ করতে চান সেখানে রোপণ করতে পারেন। তবে এর ভিতরে অনেক চারা দেখবেন আপনি ছোট রয়ে গেছে যেগুলো বড় হয়নি। 


অর্থাৎ যেগুলো দুর্বল রোগাক্রান্ত সেগুলো হবে না সেগুলো আপনি উপড়ে ফেলে দিন। কেননা এগুলো থেকে ভাল ফলাফল আশা করা যায় না। তাই যেগুলো বড় রয়েছে সেগুলো আপনি অন্য স্থানে আপনি যেখানে রোপণ করতে চান সেখানে রোপন করুন। 


আপনার তৈরি হবে আপনার প্রয়োজনীয় ঝরে মাটিতে জৈব সার প্রয়োগ করতে প্রস্তুত করে নিতে পারেন। তারপরে প্রতিটা টবে আপনি একটি করে বা দুটি করে গাঁদা ফুলের চারা লাগিয়ে আপনি আপনার বাসার আশেপাশের খোলামেলা স্থানে রাখতে পারেন।


৭ থেকে ১০ দিন পর যখন গাঁদা ফুল গাছের শিকড় বের হবে অর্থাৎ অন্য কোথাও রোপন করার আগে আপনি চারাগুলো বাড়ির ভেতর থেকে উঠিয়ে সেগুলো ভালো করে ধুয়ে নেবেন। তারপরে আপনি যেখানে রোপণ করতে চান সেখানে সুন্দর অসতর্কতা সাহায্যে রোপন করবেন। 


যাতে করে গাছের কোন প্রকার ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এর পরে আপনি আপনার ইচ্ছামত সেগুলো রোপন করে ঘরের আশপাশে রাখতে পারেন। আপনি যদি বাণিজ্যিকভাবে গাঁদা ফুল  চারা তৈরি করে বিক্রি করতে চান সেক্ষেত্রে পলিথিনের ব্যাগে ভরে আপনি সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।  


পরবর্তীতে সেগুলো বিভিন্ন উপায়ে বাজারে বাজারজাতকরণ করতে পারেন। একটি মরে যাওয়া ফুল গাছ থেকে আপনি অনেকগুলো চারা তৈরি করতে পারবেন। অর্থাৎ মরে যাওয়া গাঁদা ফুল গাছের উপরে যতগুলো থাকবে কিংবা যতগুলো জীবিত ডালের পাতা থাকবে সেগুলো আপনি কেটে নিয়ে খুব সহজ পদ্ধতিতে চারা তৈরি করতে পারেন। 


তবে অবশ্যই উপরের ডালগুলো কাটার সময় সতেজ এবং ভালো ডালগুলো কাটবেন এক্ষেত্রে আপনি অনেক ভাল ফল পাবেন। উপরে থেকে নতুন চারা তৈরি পদ্ধতি যদি আপনার কাছে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

সৌদির আজওয়া খেজুর গাছের চারা তৈরী