Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

আশ্চর্যজনক সাভারের গোলাপ গ্রাম একখন্ড স্বর্গরাজ্য

 

সাভারের গোলাপ গ্রাম
চিত্রঃ সাভারের গোলাপ গ্রাম

ভালোবাসার প্রতীক গোলাপ ফুলের স্বর্গরাজ্য সাভারের গোলাপ গ্রামে। এখানে পুরো গ্রাম জুড়ে রয়েছে সকল জাতের গোলাপ ফুলের সমারোহ। যেখানে আপনি একবার গেলে সেখান থেকে আসতে চাইবেন না। 


র্তমান সময়ের ঢাকার পর্যটন স্পট হল সাভারের গোলাপ গ্রাম নামে খ্যাত স্থানটি। এদিকে বিভিন্ন নামে মানুষ চিনে থাকে তবে অরজিনাল নাম হিসাবে মানুষ চিনে থাকে গোলাপগ্রাম নামেই।  


সাভার গোলাপ গ্রাম এর কয়েকটি নাম রয়েছে অনেকে এটাকে সাভার বিরুলিয়া গোলাপ গ্রাম নামে বলে থাকে। আবার অনেকেই শ্যামপুর গোলাপ গ্রাম বা সাইদুল্লাপুর গোলাপগ্রাম নামে চিনে থাকো।


 তবে মূল কথা হলো গ্রামটির নাম হল শ্যামপুর যেটা বর্তমান সময়ে গোলাপ ফুলের কারণে মানুষ গোলাপগ্রাম নামেই চিনে থাকে। এই গ্রামে রয়েছে মাইলের পর মাইল গোলাপের বাগান যেখানে ফুটে থাকে  হাজারো রকমের গোলাপ। 


এক কথায় স্বর্গীয় সৌন্দর্যমন্ডিত স্থান গোলাপ গ্রাম। এখানে পর্যটকদের আনাগোনা বর্তমান সময়ে খুব বেশি। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সাভারের গ্রামের মানুষ গোলাপ ফুলের স্বর্গরাজ্য দেখার জন্য এখানে অবস্থান করে। 


বিশ্বের একমাত্র গোলাপ ফুলের স্বর্গরাজ্য 

ভালোবাসার প্রতীক গোলাপ ফুলের প্রতি মানুষের চাহিদা এবং জনপ্রিয়তা অনেক আগে থেকেই বেশি। সাভারের গ্রামে আসলে বোঝা যায় মানুষ কতটা গোলাপ ফুলের জন্য পাগল।


আজ থেকে প্রায় 50 থেকে 60 বছর আগে এই অঞ্চল একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল ছিল। তখন সেখানে ছিলনা কোন গোলাপ গাছ কিংবা বর্তমানে পরিবেশ তখন সেখানে ছিল না। গোলাপ গ্রামের অধিকাংশ মানুষ গোলাপ চাষের উপর নির্ভরশীল। 


প্রায় 50 বছর আগে মানুষ সেখানে আস্তে আস্তে গোলাপ ফুলের চারা তৈরি এবং চাষ শুরু করেন। আস্তে আস্তে আধুনিক চাষাবাদ এর মাধ্যমে বিভিন্ন জ্ঞান অর্জন এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে বর্তমান সময়ে সাভারের বিরুলিয়া গোলাপ গ্রাম এখন বাংলাদেশের অন্যতম গোলাপ ফুলের স্বর্গরাজ্য।


 বাংলাদেশের সকল মানুষ এই গ্রামটির নাম হয়তো শুনে থাকবেন কিন্তু হয়তো অনেকেই এখনো এখানে আসার সুযোগ পায়নি। তারপরও এই স্থানটি এতটাই সুন্দর যে আপনি একবার চাইলে এখানে ঘুরে আসতে পারবেন। 

>বাংলাদেশের তাড়ুয়া সমুদ্র সৈকত ও চর কুকরি মুকরি স্পট


আগে থেকেই গ্রামের গোলাপ গাছের চাষাবাদ শুরু করে আস্তে আস্তে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই চাষের উপর নির্ভরশীল হয়েছে এবং বর্তমান সময়ে সকল মানুষের ওপর নির্ভরশীল। তাদের বাড়ির আশেপাশে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা এই গোলাপের চাষাবাদ করে যাচ্ছে। 


বাংলাদেশের এমন একটি গ্রাম যেখানে কোনরকম কৃষি উৎপাদনের ফসল নেই শুধুমাত্র গোলাপ ফুলের চাষাবাদ স্থানে চলে। সাভারের সাইদুল্লাপুর পাশেই গোলাপ গ্রাম সুনাম বর্তমানে অনেক বেশি এবং বহু পর্যটক অসে স্বর্গরাজ্য দেখার জন্য। 


অর্থাৎ নিজ চোখে দেখার জন্য প্রতিনিয়তই এখানে ভিড় করে এর ফলে বাংলাদেশের সকল মানুষের নজরে আসে সাভার গোলাপ গ্রাম স্থানটি।


বাংলাদেশের অধিকাংশ গোলাপ ফুল আমদানি করা হয় সাভারের গোলাপগ্রাম নামক স্থান থেকে। স্থানীয় অনেক বেপারী পাইকারি দামে গোলাপ ফুল কিনে পুরো বাংলাদেশ দিয়ে থাকে। 


তাই গোলাপ গ্রাম এর জনপ্রিয়তা বর্তমান সময়ে অনেক বেশি। বিশেষ করে ঢাকা শহরের যত গোলাপ ফুল রয়েছে সব এখানেই পাওয়া যায়। এই গ্রামে পাশাপাশি কয়েকটি গ্রাম রয়েছে যেখানে প্রতিটি গ্রামে টুকটাক গোলাপ ফুলের চাষ হয়। 


গোলাপ ফুলের স্বর্গরাজ্য ও গোলাপ গ্রামের চাষাবাদ

এই গ্রামের সবচেয়ে বেশি গোলাপ ফুলের চাষ করা হয় আপনি নিজের চোখে দেখবেন। যে গোলাপ ফুলের স্বর্গরাজ্য সাভারের বিরুলিয়া শ্যামপুর গ্রাম নাম হল গোলাপ গ্রাম। সাভার গোলাপ গ্রাম নামে চিনে থাকেন তবে এই গ্রামটির নাম হল শ্যামপুর গ্রাম। 


এছাড়াও পাশাপাশি অনেক গ্রামে রয়েছে যেমন সাইদুল্লাপুর এগুলো তো অনেক গোলাপ ফুলের চাষ করা হয়। তবে মানুষ এখনো বিভিন্ন স্থানে থাকে ঢাকা থেকে গোলাপ প্রেমীরা  প্রতিনিয়ত এখানে দেখতে আসে। এছাড়াও গোলাপ চাষিদের চাষাবাদ এবং গোলাপের সৌন্দর্য মন্ডিত স্থানগুলো মানুষ খুব সহজেই দেখতে পারে।


বিরুলিয়া গোলাপ গ্রাম নামে খ্যাত স্থানটি সাভারের বিরুলিয়া গ্রামে অবস্থিত। ঢাকার সকল গোলাপ ফুল এই স্বর্গরাজ্য  থেকে আমদানি করে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানকার মানুষ সকলেই গোলাপ ফুলের চাষের ওপর নির্ভরশীল। 


বিশেষ করে সকলেই গোলাপ ফুলের ব্যবসা করে থাকে। তাছাড়া এই গ্রামটি পুরো অংশ জুড়ে যেখানে আপনি যাবেন সেখানেই আপনি গোলাপ গাছের ফুল দেখতে পারবেন। তাই আপনি এখানে কিভাবে আসবেন আসলে কেমন খরচ হতে পারে সেগুলো নেই আপনার অনেক জানার কিছু থাকতে পারে।


 তাছাড়া এখানে আসতে হলে কি কি সর্তকতা মানতে হবে এবং কিভাবে আসলে সহজ উপায়ে কম সময়ের মধ্যে আপনি সকল গোলাপ ফুলের স্বর্গরাজ্য দেখতে পারবেন সে সম্পর্কে জানতে পুরো পোস্ট ভালো করে পড়তে হবে।


গোলাপ ফুলের স্বর্গরাজ্য সাভারের গোলাপ গ্রাম লোকেশন

একজন দর্শনার্থী হিসাবে আপনি সাভারের গোলাপ গ্রামে বিভিন্ন উপায়ে যেতে পারেন। আপনি যদি ঢাকা দক্ষিণ সিটি থেকে যেতে চান কিংবা  সাভার উপজেলার আশেপাশের কোন ব্যক্তি হিসেবে আপনি যদি চান তাহলে আপনাকে একটি উপায় যেতে হবে। 


আপনি যদি ঢাকা উত্তর সিটি অর্থাৎ মিরপুর উত্তরা এদিকের আপনি বাসিন্দা হয়ে থাকেন তাহলে আপনি খুব সহজেই যেতে পারবেন। আপনি যদি সাভার দিয়ে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার প্রথমে সাভার বাজার রোড সাভার বাসস্ট্যান্ড থেকে নেমে বামদিকে রাজাশন দিকে একটি রোড রয়েছে। 


অর্থাৎ যে রোড বলা হয় আপনি মিনি বাস পেয়ে যাবেন যেগুলো প্রতি 10 থেকে 15 মিনিট পরপর ছেড়ে যায়। সেখান থেকে আপনি রাজাশন হয় আপনি সরাসরি সাইদুল্লাপুর বাস স্টপে আসতে পারবেন।


 কেননা সাভার বাসস্ট্যান্ড থেকে মিনিবাসগুলো রোড দিয়ে সাইদুল্লাপুর পর্যন্ত আসে এবং সেখান থেকে আপনি খুব সহজেই দশ থেকে পনেরো মিনিটের মধ্যেই সাভারের বিরুলিয়া গোলাপ গ্রামে আসতে পারেন।  আসার রাস্তা খুবই সহজ এবং এবং ভালো অনেক  মানুষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই স্থান দিয়ে যাওয়া আসা করে।


আপনি যদি নৌকায় ভ্রমণ প্রিয় মানুষ হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি নৌকায় ভ্রমণ করে সাভারের বিরুলিয়া গোলাপ গ্রামে চলে আসতে পারেন। কেননা সাভারের বিরুলিয়া গোলাপ গ্রাম টি হল তুরাগ নদীর পাশে যা আপনি খুব সহজে নৌকায় ভ্রমণ করে যেতে পারবেন। 


গোলাপ ফুলের স্বর্গরাজ্য যেতে হলে মিরপুর থেকে তুরাগ নদীর ঘাট থেকে আপনি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার নৌকায় খুব কম সময়ের মধ্যেই আপনি সরাসরি শ্যামপুর গোলাপ গ্রামে চলে আসতে পারেন। 


মিরপুর থেকে প্রতি 15 থেকে 30 মিনিট পর পরই অনেক নৌকা আবার ছেড়ে যায়। এগুলো সরাসরি গোলাপ গ্রামের পাশেই ঘাট করে সেখান থেকে নেমেই 5 থেকে 10 মিনিটের স্বর্গরাজ্য সাভার গোলাপ গ্রামে চলে আসতে পারেন। 


আপনার জন্য অনেক সুন্দর হবে বিশেষ করে আপনি যদি নদী প্রিয় মানুষ হয়ে থাকেন। মিরপুর উত্তরা  সকল মানুষই নৌকার দিয়ে গোলাপ গ্রামে ভ্রমন করে থাকে। এছাড়াও মিরপুর রোড নামে খ্যাত যে রোড রয়েছে সেটা দিয়ে সোজা আপনি সাভারের বিরুলিয়া গ্রামে চলে আসতে পারেন। 


এক্ষেত্রে আপনাকে বিরুলিয়া বাস স্ট্যান্ড এ নামতে হবে। মিরপুর রোড দিয়ে সরাসরি আপনি  তুরাগ নদীর উপর একটি ব্রিজ চলে গেছে এবং সেখানে আপনি খুব সহজেই সাভার গোলাপ গ্রামে চলে আসতে পারেন।


গোলাপ ফুলের স্বর্গরাজ্য সাভারের গোলাপ গ্রামে কিভাবে আসবে সম্পর্কে আপনি ইউটিউবে হাজারো ভিডিও পেয়ে যাবেন সেগুলো দেখে আপনি খুব সহজেই সাভারের গোলাপ গ্রামে চলে আসতে পারেন।


 এছাড়াও আপনি গুগল ম্যাপের মাধ্যমে খুব সহজেই এখানে চলে আসতে পারেন। তবে আপনি যদি ভালো আনন্দ পেতে চান সেক্ষেত্রে আপনি কোন সরকারি ছুটির দিন যদি আসেন। 


সে ক্ষেত্রে অনেক ভালো হবে কেননা এই দিনে এখানে অনেক মানুষ ঘুরতে আসে। যার ফলে এখানকার পরিবেশটা অনেক জমজমাট থাকে। তাছাড়া গোলাপগ্রাম আশেপাশে আপনি অনেক গোলাপ ফুলের তৈরি জিনিস কিনতে পেয়ে যাবেন যেগুলো খুবই কম দামে সেখানে বিক্রি করা হয়।


 আপনি যদি কখনো আসেন চাইলে এখান থেকে খুব কম দামে গোলাপের তৈরি জিনিসপত্র পেয়ে যেতে পারেন।


গোলাপ ফুলের স্বর্গরাজ্য সাভারের গোলাপ গ্রাম একসময় মানুষের নজর এর বাহিরে ছিল। কেননা তখন এখানে অনেক মানুষ আসা-যাওয়া করতো না। কিন্তু বর্তমান সময়ে পর্যটন হটস্পট হয়। 


বর্তমান সময়ে এখানে হাজারো মানুষ আসা-যাওয়া করে যার ফলে এখানে তৈরি হয়েছে অনেক সিন্ডিকেট। তবে আপনি পর্যটক হিসেবে এখানে সিন্ডিকেটের আওতাভুক্ত হতে নাও হতে পারেন। 


 এখানে অনেক সিন্ডিকেট রয়েছে যারা গোলাপ ফুল কেনাবেচা করে। আপনি যদি কখনো এখান থেকে পাইকারি দরে গোলাপ ফুল কিনতে চান সেক্ষেত্রে আপনি কোন থার্ড-পার্টির হাত না ধরে আপনি নিজেই দরদাম করে কিনতে পারেন। 


কেননা এখানে অনেক সিন্ডিকেট শুরু হয়েছে অনেকেই গোলাপ ফুলের চারা বিক্রি নাম করে আপনার সাথে প্রতারণা করতে পারে। তাই আপনি যদি কখনও অনেক বেশি ফুল কিনেন সে ক্ষেত্রে অনেক সতর্ক থাকা উচিত।


গোলাপ গ্রাম গোলাপের দাম ও জাত

গোলাপ ফুলের স্বর্গরাজ্য ও ভালবাসার প্রতীক ফুলের গ্রাম এখানে বিশ্বের সকল রকমের গোলাপ ফুলের চাষ করা হয়ে থাকে। তবে মিরান্ডা জাতের গোলাপ এখানে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়।  এগুলা অনেক বড় এবং বিক্রির জন্য অনেক জনপ্রিয় একটি ফুল। 


সাভারের বিরুলিয়া গোলাপ গ্রাম এখানে ফুল বেচাকেনা হয় সব রাতে। সারাদিন যখন চাষীরা তাদের কোন ফুলের পরিচর্যা করে এবং বিক্রি করার মত যে সকল গোলাপ ফুল পায়। সেগুলো নিয়ে রাতে হাটে চলে আসে এখানে তিন থেকে চারটি হাট রয়েছে যেখানে বিকাল বা সন্ধ্যা থেকে গোলাপ ফুল বেচাকেনা শুরু হয়।  


যারা রাতে গোলাপ ফুল কিনে সকালে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে গোলাপ ফুল দিয়ে থাকে। এজন্য এখানে বেশিরভাগ সময় রাতে হাট জমে ওঠে। এখান থেকে সকল মানুষ স্বল্পমূল্যে পাইকারি দামে গোলাপ ফুল দিয়ে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লাই দিয়ে থাকেন। 


তবে এখানেও সিন্ডিকেটের কারণে বর্তমান সময়ে অনেক গোলাপ চাষের জন্য ফুল বিক্রি করা ভালো দামে বিক্রি করা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। কেননা এসব সিন্ডিকেটের কারণে অনেক চাষীরা সঠিক দাম পায়না। 


সে ক্ষেত্রে তাদের গোলাপ ফুলের চাষ করার থেকে মুক্তি চায়। কেননা তাদের স্বাধীনভাবে এবং তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ভালো লাভ করতে পারছে না। ভালোবাসার প্রতীক সাভারের গোলাপ গ্রাম যে একটি গোলাপ ফুলের  স্বর্গরাজ্য  যেখানে আপনি না আসলে কখনোই বুঝতে পারবেন না।  


কোন পর্যটক ভালোবাসার প্রতীক গোলাপ ফুল প্রেমী মানুষ যদি সাভারের বিরুলিয়া গোলাপ গ্রামে ঘুরতে আসতে চায় সেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত খাওয়া-দাওয়া করার মতো হোটেল-রেস্তোরাঁ রয়েছে। এখানে কয়েকটি ভালো রেস্তোরাঁ রয়েছে যেখানে আপনি খুব ভালো ভালো খাবার পেয়ে যাবেন।


ঢাকা জেলার সাভার উপজেলা তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত এই গোলাপগ্রাম যার অপর নাম গোলাপ ফুলের স্বর্গরাজ্য। এখানে শুধু সাদুল্লাহপুর ছাড়াও এখানে শ্যামপুর  গোলাপ ফুল আপনি দেখলে আপনার মন পাগল হয়ে যাবে। 


এখানে যদি আপনি কখনো ঘুরতে চান সেক্ষেত্রে আপনি সকাল সকাল যেতে পারলে ভালো হয়। কেননা এখানকার চাষিরা দুপুরের পর থেকেই অনেক ব্যস্ত সময় পার করে। কেননা সকল গাছ পরিচর্যা এবং পাশাপাশি যেগুলো বিক্রি করার উপযুক্ত গোলাপ সেগুলো নিয়ে তারা বিক্রির জন্য হাটে যায়। 


সেক্ষেত্রে আপনি তাদের সাহায্য বিকেলের পর গেলে নাও পেতে পারেন। তবে সতর্ক থাকা উচিত যেন এখানকার পরিবেশ এবং এখানকার গাছপালা ভালো রাখা দরকার। কোন কারণে কিংবা কারো অনুমতি ছাড়া এখানকার গোলাপ ফুল গোলাপ ফুলের চারা তুলে নেওয়া এটা সকল পর্যটকদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।


গোলাপ ফুলের স্বর্গরাজ্য সাভার বিরুলিয়া গ্রামের প্রায় আশি থেকে নব্বই শতাংশ মানুষ এখানকার গোলাপ চাষের উপর নির্ভরশীল। এখান থেকে প্রতিদিন  প্রায় 1 থেকে 2 লাখ পিস গোলাপ ফুল বিক্রি হয়। 


এছাড়া অন্যান্য সময় এখান থেকে গড়ে প্রতিদিন 50 হাজার থেকে 60 হাজার প্রর্যন্ত গোলাপ ফুল বিক্রি করা হয়। সাভারে গোলাপ গ্রামে প্রায় বারোমাস ফুলের আধুনিক চাষাবাদ করে থাকে। এখানকার মানুষ একসময় গোলাপ ফুলের চাষ আবাদের এতটা উন্নত ছিল না। 


বর্তমান সময় আধুনিক চাষাবাদ এবং বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উন্নয়ন শিকারের ফলে এখানকার গোলাপ ফুলের ফলন খুব ভালো হচ্ছে। এখানকার চাষীরা বিভিন্ন জ্ঞান এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে খুব কম সময় এখানকার গোলাপ ফুলের ভালো ফলন নিয়ে আসছে। 


ফলে একদিকে তারা উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে অন্যদিকে তারা এগুলো বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে।


ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষ চাকরিজীবী তাই তাদের কর্মজীবনে কিছু প্রশান্তি অনেক দরকার হয়ে পড়ে। কর্মজীবনের শান্তি এবং আনন্দ নিয়ে আসার জন্য আপনিও চাইলে একদিন চলে যেতে পারেন গোলাপ ফুলের স্বর্গরাজ্য সাভারের বিরুলিয়া গোলাপ গ্রামে। 


এখানে আপনি আসলে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। কেননা এখানে আঁকাবাঁকা রাস্তা এবং গোলাপ ফুলের চাষাবাদ আপনাকে অন্যরকম আনন্দ দেবে। যেদিকেই তাকাবেন সেদিকেই গোলাপ ফুলের সমারোহ যা দেখলে অন্যরকম একটি অভিজ্ঞতা আপনার হতে পারে। 


আমরা সাধারণত যখন গ্রাম অঞ্চলে যাই তখন মাইলের পর মাইল ধানক্ষেতে কিন্তু এখানে আসলে আপনি সম্পূর্ণ উল্টা দেখবেন। মাইলের পর মাইল সমস্ত গোলাপ ফুলের গাছ যেগুলো আপনাকে সত্যি পাগল করে দেয়ার মত। 


যদি কখনো এখানে ঘুরে আসতে চান সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন এখানে চলে আসতে পারেন তবে প্রতিটা ভ্রমণে যাওয়ার সময় অনেক সতর্ক থাকা জরুরী যেটা আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।


মিরপুর থেকে কিভাবে সাভারের গোলাপগ্রাম যাবেন

মিরপুর 12 ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এরিয়া থেকে আপনি খুব সহজেই মাত্র 1 ঘন্টার মধ্যে আপনি সাভারের বিরুলিয়া গোলাপ গ্রামে যেতে পারেন। 


তাছাড়া এখানে যাওয়ার রাস্তাটাও যথেষ্ট আপনার জন্য ভ্রমণ ময় হবে। আপনি মিরপুর 1 নম্বর অথবা যেকোনো স্থান থেকে প্রথমে বটতলা ঘাট চলে যেতে পারবেন। সেখান থেকে প্রতি  ৩০ মিনিট পরপর ট্রলার ছেড়ে যায়। 


এখানে গোলাপ ফুলের স্বর্গরাজ্য যাওয়ার অনেক লোক আবার পাওয়া যায়। সেখান থেকে আপনি চাইলেই সরাসরি বিরুলিয়া ঘাট অর্থাৎ সাভার বিরুলিয়া গোলাপ গ্রামের ঘাটে পৌঁছে যেতে পারবেন।


 সেখান থেকে আপনি 10 থেকে 15 মিনিটেই স্বর্গরাজ্য সাভারে গোলাপ গ্রামে চলে আসেন এক্ষেত্রে আপনার জন প্রতি 100 টাকার মতো খরচ হবে।


আপনি যদি কখনো গোলাপ ফুলের স্বর্গরাজ্য সাভারের বিরুলিয়া গোলাপ গ্রামে আসেন সে ক্ষেত্রে আপনি কম দামে অনেকগুলো ফুল কিনতে পারবেন। 


এখানে প্রতি সকল পর্যটক এর জন্য ভালো মানের বড় গোলাপগুলো 10 থেকে 15 টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। এছাড়াও ছোট গোলাপ 5 থেকে 10 টাকার মতো এখানে বিক্রি করা হয়। 


যেগুলো সকল পর্যটকদের মন কাড়ে গোলাপ ফুলের সাভারের গোলাপ গ্রামে আপনি সময় পেলে চলে আসুন। তাছাড়া বিভিন্ন ফটোশুট বিভিন্ন কিছু করার জন্য এখানে চলে আসতে পারেন যেটা আপনার জন্য অনেক আনন্দদায়ক হতে পারে।


গোলাপ ফুলের স্বর্গরাজ্য শহরের গোলাপ গ্রামে আপনি কি গোলাপ ফুল দেখতে পারবেন। আপনি আরো অন্যান্য সকল জাতের ফুল এখানে দেখতে পারবেন।


 বিভিন্ন জাতের রজনীগন্ধা হতে শুরু করে অনেক প্রজাতির ফুল এখানে আপনি খুব সহজে পাবেন। তবে বছরের সব সময় এখানে আপনি সকল জাতীয় ফুল পেতে নাও পারেন। 


তবে বছরের সব সময় এখানে সকল জাতের গোলাপ ফুল আপনি পেয়ে যাবেন তাই সুযোগ পেলে চলে আসো এখানে।


ভালোবাসার প্রতীক গোলাপ ফুলের স্বর্গরাজ্য দেখার ইচ্ছা হলে চলে আসতে পারেন খুব সহজেই। অবশ্যই মাথায় রাখবেন এখানে আসলে আপনি সময় নিয়ে সবকিছু ভালো করে দেখার জন্য আসবেন।


 এছাড়া সতর্ক থাকা অনেকটা জরুরী। গোলাপ ফুলের স্বর্গরাজ্য ও ভালোবাসার প্রতীক গোলাপ ফুলের  গ্রাম এই পোষ্ট যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের মতামত জানাতে ভুলবেন না।

শ্রেষ্ঠ পর্যটন স্পট তাড়ুয়া সমুদ্র সৈকতে ভ্রমন